#Demonetisation নিয়ে নতুন দাবি নরেন্দ্র মোদীর, ভোগান্তি একলাফে কমবে না!
ডিসেম্বরের ৩০ তারিখের পরে নোট নিয়ে কোনও সমস্যাই থাকবে না। এমনটাই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে দিন যত কমে আসছে, এমন সময়ে নতুন দাবি করে বসলেন তিনি।
নয়াদিল্লি, ১১ ডিসেম্বর : নোট বাতিলের ঘোষণার পরে দেশবাসীর কাছে মাত্র ৫০ দিন সময় চেয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দাবি করেছিলেন এইক'টি দিন পেলেই দুর্নীতিমুক্ত নতুন ভারতবর্ষ গড়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যাব আমরা।
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে 'ক্যাশলেস' হতে চলেছে দেশের এই রাজ্য
এই সংস্থার পরামর্শ মেনেই কেন্দ্র নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
ডিসেম্বরের ৩০ তারিখের পরে নোট নিয়ে কোনও সমস্যাই থাকবে না। এমনটাই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে দিন যত কমে আসছে, এমন সময়ে নতুন দাবি করে বসলেন তিনি। জানালেন, ৩০ ডিসেম্বরের পরে একলাফে নয়, ধীরে ধীরে নোট সমস্যার সমাধান হবে।
শনিবার এমন ঘোষণার পরে ফের একবার আশঙ্কার জায়গা তৈরি হয়েছে। কারণ গত একমাসে নোট বাতিলকে ঘিরে হুলুস্থুল কান্ড বেঁধে গিয়েছে। অনেকে ব্যাঙ্ক-এটিএমের লাইনে দাঁড়িয়ে মারা গিয়েছেন। এমনকী চিকিৎসা করাতে গিয়েও প্রভূত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে মানুষ। পাশাপাশি সারা দেশে ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে।
এই কারণে ব্যাঙ্ক বা এটিএমে শুধুই ২ হাজারের নোট, আকাল ৫০০ টাকার নোটের
ঘুষের ৫০ লক্ষ টাকা বাড়িতে, ঘুষ নেন কেন? লখনৌ ইঞ্জিনিয়ারের যুক্তি শুনলে ঘাবড়ে যাবেন
এই অবস্থায় মোদী বলেছেন, "আমি হিসাব করে দেখেছি, ৫০ দিন পরে ধীরে ধীরে আগের মতো পরিস্থিতির দিকে আমরা এগিয়ে যাব।" অর্থাৎ ডিসেম্বরের পরই পরিস্থিতি আগের মতো স্বাভাবিক হবে, সেই নিশ্চয়তা নেই।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী জনসভায় দাবি করে বলেছিলেন, "আমি দেশের কাছে ৫০ দিন সময় চেয়েছি। যদি ৩০ ডিসেম্বরের পরে আমার কাজে খামতি থেকে যায়, আমার ভুল বের হয়, আমার উদ্দেশ্য খারাপ হয়, তাহলে দেশ যা সাজা দেবে আমি তা ভোগ করতে তৈরি থাকব।"
প্রধানমন্ত্রী এই দাবির পরে অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, কেন্দ্রের যা ঘোষণা ছিল, তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে যে দেশের মোট নোটের ৮৬ শতাংশকে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে বদলে ফেলতে গেলে আরও কিছুদিন বেশি সময় লাগবে। সেজন্যই এই দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী বারবার জানিয়েছেন যে, নোট বাতিলের ঘটনা ছোট বিষয় নয়। এজন্য জনগণকে কিছুদিনের কষ্ট অবশ্যই সহ্য করতে হবে। এর পাশাপাশি নগদের বদলে ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়েও জোর দিয়েছে কেন্দ্র। আগামিদিনে ক্যাশলেস অর্থব্যবস্থা গড়তেই এই প্রয়াস বলে জানানো হয়েছে।
তবে নতুন করে যে দাবি প্রধানমন্ত্রী করেছেন, তার ফলে ফের যে আগামিদিনে তিনি প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে চলেছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত। বিরোধীরা কীভাবে এর বিরুদ্ধে প্রচার চালায় সেটাই এখন দেখার।