একদিকে কার্ফু, অন্যদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লাগাতার বিক্ষোভে স্তব্ধ কাশ্মীর, হত ৪৪
জম্মু, ২০ জুলাই : একদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিক্ষোভ আর তার জেরে হওয়া অশান্তি, এবং অন্যদিকে তা থামাতে কার্ফু জারি হওয়া। এই দুইয়ে মিলে কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে কাশ্মীর উপত্যকা। হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে শুরু হওয়া অশান্তি এই নিয়ে ১৩ দিনে পড়ল। [হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির জঙ্গি হয়ে ওঠার কাহিনি]
পুলিশ ও সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, আইনের শাসন বজায় রাখতে উপত্যকার বেশিরভাগ অংশেই এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু চলবে। মঙ্গলবার সেভাবে কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। তবে গোটা উপত্যতাই থমথমে হয়ে রয়েছে। [কাশ্মীরে অশান্তির জন্য হাওয়ালার মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে পাকিস্তান]
গত কয়েকদিন ধরে কাশ্মীরে সংবাদপত্রের বিলি বন্ধ হয়ে রয়েছে। বাড়ি বাড়ি সংবাদপত্র পৌঁছচ্ছে না। তবে সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংবাদপত্রের উপরে কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। এটা জানার পরই ফের সংবাদপত্র প্রকাশনার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করা হয়েছে। [কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি দলে নাম লেখাচ্ছে কারা? জেনে নিন]
তবে গত ৯ দিন ধরে উপত্যকার কারও মোবাইল ফোনে কথা বলার সুবিধা বা ইন্টারনেট যোগাযোগ নেই। কিছু বিএসএনএলের পোস্ট-পেইড মোবাইলে ফোন করার সুবিধা পাওয়া গেলেও তা খুবই সামান্য। [হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের নামে ক্রিকেট টিম কাশ্মীরে]
সরকারি সূত্রই বলছে, উপত্যকায় অশান্তির জেরে এখনও পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২১০০ জনেরও বেশি মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি উপত্যকায় শান্তি ফেরানোর ডাক দিলেও সেনা-পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে কোনও তদন্তের নির্দেশ দেননি। এদিন সেনাপ্রধান দলবীর সিং সুহাগও উপত্যকায় গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে।