সরকারের সমালোচনা করলেই তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
নয়াদিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর : সরকারের কোনও কাজ বা পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলে বা সোচ্চার হলেই সেই ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গ বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা যাবে না। এমনকী মানহানির মামলাও করা যাবে না বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। [খুনের দায়ে 'মানুষখেকো বাঘ', বন্দি করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, সরকারের সমালোচনা করে কেউ মন্তব্য করলেই তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা বা মানহানি আইনের আওতায় পড়ে না। এর জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। একমাত্র সেটিই এক্ষেত্রে বিবেচ্য বলে জানিয়েছেন বিচারপতি দীপক মিশ্র ও ইউইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ। [পানশালায় নর্তকীদের ছুঁলেই হতে পারে ছয় মাসের কারাদণ্ড!]
আইনজীবী তথা আপের প্রাক্তন নেতা প্রশান্ত ভূষণ একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থার হয়ে একটি মামলার আপিল করায় এই মন্তব্য করেছে আদালত। আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল, রাষ্ট্রদ্রোহিতা অত্যন্ত গুরু একটি অপরাধ। আর সর্বত্র এই আইনের অপব্যবহার চলছে। [স্ত্রীর অকালমৃত্যু হলে সম্পত্তিতে অধিকার থাকবে না স্বামীর : সুপ্রিম কোর্ট]
এই আবেদনে প্রশান্ত ভূষণ উদাহরণ হিসাবে কুন্দনকুলম পরমাণু প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় জড়ানো এবং কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীকে মামলায় জড়ানোর উল্লেখ করেন। এর প্রেক্ষিতেই সর্বোচ্চ আদালত জানান, আইনে এই বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ ও সংস্থান রয়েছে। এটা আলাদা করে কাউকে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। [ধর্ষিতা নাবালিকা ২৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা, গর্ভপাতে মত দিল সুপ্রিম কোর্ট]
প্রশান্ত ভূষণের মামলাকারী এনজিও-র আবেদন ছিল এই বিষয়ে আদালত সবকটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিক এবং পুলিশের সমস্ত ডিরেক্টর জেনারেল পদে থাকা আধিকারিরদের এই আইন মেনে চলতে নির্দেশ দিক। যদিও আদালত দুটিই খারিজ করে দিয়েছে। এজন্য আলাদা করে আবেদন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রতিটি মামলায় আলাদা দৃষ্টিকোণ রয়েছে। তার ভিত্তিতে বিচারক বা বিচারপতি সবদিক দেখে সিদ্ধান্ত নেয়। আইনে একেবারে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। ফলে আইন সংশোধনেরও কোনও প্রয়োজন নেই।