হিংসা, রাগ বাড়ার পিছনে রয়েছে পরিবেশের কারসাজি, জানাল গবেষণা
পৃথিবী জুড়েই হিংসা-হানাহানি, বিদ্বেষ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কারও মতে মূল্যবোধ কমে যাওয়াতেই এই অধঃপতন, কারও মতে বদলে যাওয়া সমাজজীবনের প্রেক্ষাপটই এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। তবে এর দায় যে অনেকাংশে পরিবেশেরও তা উঠে এল সাম্প্রতিক গবেষণায়।
গবেষণা বলছে, কোনও দেশের অধিবাসীদের আক্রমণাত্মক স্বভাবের পিছনে অনেকাংশে দায়ী থাকে পরিবেশ। আরও ভালো করে বললে, পরিবেশের উষ্ণতা। উষ্ণতা যত বাড়তে থাকে ততই মানুষ মেজাজ হারাতে থাকে ও সমাজজীবনে বৈষম্য, হিংসা-হানাহানি তৈরি হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে স্থানের বা দেশের আবহাওয়ার উষ্ণতায় সারাবছর কোনও বৈষম্য থাকে না, এবং তা অপেক্ষাকৃত উষ্ণ হয়, সেখানকার মানুষেরা অনেক বেশি হিংসাত্মক ও আক্রমণাত্মক হন। এমন জায়গার মানুষেরা আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। নিজের ভবিষ্যতেও মনোনিবেশ করতে ব্যর্থ হন।
অতীতে এই সংক্রান্ত নানা গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও তা ততোটা বাস্তবসম্মত ছিল না। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন মডেল তৈরি করেছেন। এর পোশাকি নাম 'CLASH'। অর্থাৎ 'ক্লাইমেট অ্যাগ্রেশন অ্যান্ড সেলফ-কন্ট্রোল ইন হিউম্যানস'। এর মাধ্যমে আবহাওয়া ও মানসিকতার মধ্যের সম্পর্ক নিরুপণ করা সম্ভব হয়েছে।
এই মডেলের সাহায্যে সারা বিশ্বের সব দেশের অভ্যন্তরীণ ও বহির্দেশীয় হিংসার মধ্যের বিভেদ তৈরি করে তার নিরুপায়ের উপায় বের করা সম্ভব হবে। উষ্ণ আবহাওয়া মানুষের মনে বিরক্তি ও সর্বদা অস্বস্তি তৈরি করে। এর ফলে মানুষ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।
তবে কী কারণে অত্যধিক হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি হয় যার ফলে মানুষের মৃত্যু হয় সেইবিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অতীতে গবেষণায় উঠে এসেছে যে, যারা ঠান্ডা আবহাওয়ার বসবাস করেন, আলোর অভাবে তাদের 'সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার'-এর সমস্যা হয়ে থাকে। তবে ঠান্ডা আবহাওয়ার মানুষদের সঙ্গে আক্রমণাত্মক স্বভাবের কোনও যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।