ভারতের সীমান্তে ফের চিনা আগ্রাসন, সীমান্তে উত্তেজনা, এরপর কী হল
ফের চিনা আগ্রাসন, সিকিমে সীমান্তের এপারে ঢুকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বাঙ্কার ওড়াল চিন সেনাবাহিনী, পাল্টা মানব প্রাচীর ভারতীয় সেনার ।
সিকিম সীমান্ত দিয়ে এপারে এসে ভারতীয় সেনার দু'টি অস্থায়ী বাঙ্কার নষ্ট করে দিয়েছে চিনের সেনা। এমনটাই জানা গিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে। চিন সেনা যাতে আর এগোতে না পারে তার জন্য মানব প্রাচীর তৈরি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
সিকিমের দুর্গম ডোকো লা এলাকা বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। দিন দশেক আগে লালটেন এলাকায় সীমানা পেরিয়ে এসে সেনার দুটি বাঙ্কার নষ্ট করে দেওয়ার পরই উত্তেজনা চরমে ওঠে। গত ২০শে জুন এবিষয়ে দুই রাষ্ট্রের সেনা আধিকারিকদের ফ্ল্যাগ মিটও হয়েছে। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলেই খবর। চিন বাহিনীকে রুখতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার মানব প্রাচীর তৈরি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এবিষয়ে অবশ্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
নাথুলা পাস হয়ে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা বন্ধ করে দিয়েছে চিন। তার কারণ হিসেবে চিন খারাপ আবহাওয়ার যুক্তি খাড়া করলেও এই চিনা আগ্রাসনও অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারত - চিনের মধ্যে ৪০৫৭ কিমি দীর্ঘ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল নিয়ে প্রায়দিনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। গত কয়েক বছরে সিকিমে ভারত- চিন সীমান্তে চিনা বাহিনীর আনাগোনা বেড়েছে। এর আগে ২০০৮ সালেও একই জায়গায় ভারতীয় বাঙ্কার উড়িয়ে দিয়েছিল চিন। ১৯৬২ সাল থেকেই সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠাপন নিয়ে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে বহু আলোচনা হলেও ফলপ্রসূ কিছুই হয়নি। বছর কয়েক আগেই লাদাখে ভারতীয় সীমানার বেশ কিছুটা ভেতরে ঢুকে পড়েছিল চিনা বাহিনী। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে সেখানেই ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। নতুন করে চিনা অনুপ্রবেশ কেন্দ্রীয় সরকারকে দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।