নলকূপের গর্তে চোদ্দ মাসের শিশু, তারপর কী হল শুনলে চোখে জল চলে আসবে
প্রায় আটান্ন ঘন্টার পর নলকূপের গর্তে আটকে পড়া শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার হায়দরাবাদে। প্রশ্ন উদ্ধারকাজের পদ্ধতি নিয়ে।
সফল হল না আটান্ন ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস লড়াই। কাজে এল না আধুনিক যন্ত্রপাতি। কারণ কুরুক্ষেত্রের প্রিন্সের মত ভাগ্য নিয়ে এই পৃথিবীতে আসেনি চোদ্দ মাসের চিন্নারি। ফলে প্রায় আড়াই দিন পরে তার নিথর দেহই উঠে এল খোলা বোরওয়েল থেকে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দিদির সঙ্গে খেলতে গিয়ে বাড়ির সামনে খোলা বোরওয়েলে পড়ে যায় হায়দরাবাদের কাছে এক্কারেড্ডিগুড়ার ছোট্ট চিন্নারি। খবর পেয়েই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ, দমকল ও এনডিআরএফ- এর দল। অক্সিজেন সরবরাহের পাশাপাশি একটি অত্যাধুনিক ক্যামেরা দিয়ে দেখা যায় প্রায় ২৪৫ ফিট গভীরে আটকে রয়েছে চিন্নারি। শুরু হয় সমান্তরাল একটি গর্ত খোঁড়ার কাজ। তবে পাথুরে মাটি হওয়ার কারণে বাধা পেতে থাকে উদ্ধারকাজ। মাটির তলায় গ্রেনাইট বোল্ডার থাকার ফলে বার বার ভেঙে যেতে থাকে আর্থ মুভারের ব্লেড। ফলে শনিবার পর্যন্ত মাত্র ৪৫ ফিট গভীর গর্ত খোঁড়াই সম্ভব হয়। এরপর নলকূপের জল তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাত থেকে নলকূপের জল তোলার শুরু হতেই রবিবার সকাল ৬.১৫ নাগাদ উঠে আসে চিন্নারির নিথর দেহ। এই ঘটনায় জমির মালিক মাল্লা রেড্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে সাইবরাবাদ পুলিশ।
#Telangana: Mortal remains of 18-months-old girl, who fell into an open borewell in Vikarabad on June 22, found at 245 feet, earlier today. pic.twitter.com/WgZY5q0RIn
— ANI (@ANI_news) June 25, 2017
কিন্তু দমকল ও ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের উদ্ধারকাজের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ওই এলাকার জমির চরিত্র না বুঝেই কাজ শুরু করে এনডিআরএফ । কোনও ভূতত্ববিদের সাহায্য নিলে কাজটা হয়ত অনেক সহজ হত। বেশি সময় নষ্ট হত না, বাঁচানো যেত শিশুটিকেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাছেই এমনটি একটি জায়গা চিহ্নিত করা উচিত ছিল যেখানকার মাটি তুলনামূলকভাবে কম শক্ত ও পাথুরে। এই কাজের জন্য কোনও ভূতত্ববিদের সাহায্য নেওয়া যেতেই পারত। বিশেষজ্ঞদের অপর একটি অংশ মনে করছে প্রথমেই যে নলকূপটি শিশুটি পড়েছে, সেটার মুখটা আরও চওড়া করা উচিত ছিল, যাতে শিশুটি বেশি করে অক্সিজেন পায়।