অর্ধেক দামে রেশনের সামগ্রী বেচে দেন বিএসএফের ক্যাম্প অফিসাররা!, অভিযোগ এক সেনারই
অভিযোগ উঠেছে, সেনা আধিকারিকেরা জ্বালানি থেকে শুরু করে খাবার সামগ্রী যা সেনার জন্য আসে তা বাইরে বিক্রি করে দেন। এবং তাও করেন নিজেদের মুনাফার লক্ষ্যে বাজারের থেকে অর্ধেক দামে।
শ্রীনগর, ১১ জানুয়ারি : বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুরে তোলা ভিডিও নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। খাবার বিতর্কে তেজ বাহাদুর যখন সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন তখন সেনার তরফে তাঁর মানসিক সুস্থতা ও মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।[মদ্যপ হলে কেন জওয়ান তেজ বাহাদুরকে সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়োগ? উঠছে প্রশ্ন ]
তবে এসবের মধ্যে থেকে নতুন তথ্য সামনে উঠে আসছে। আধাসেনা ও বিএসএফের ক্যাম্পের কাছাকাছি যে সমস্ত লোকালয় রয়েছে, সেখানকার মানুষ জানাচ্ছেন, সেনা আধিকারিকেরা জ্বালানি থেকে শুরু করে খাবার সামগ্রী যা সেনার জন্য আসে তা বাইরে বিক্রি করে দেন। এবং তাও করেন নিজেদের মুনাফার লক্ষ্যে বাজারের থেকে অর্ধেক দামে।["একটা পোড়া রুটি, এক গ্লাস চা, ক্যাম্পে খাবার এমনটাই", বিএসএফ জওয়ানের অভিযোগের ভিডিও ভাইরাল]
জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদব বিএসএফের ২৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন। কেমন খাবার তাদের দেওয়া হয় তার ভিডিও তুলে স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি পোস্ট করেন। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার সেনা ক্যাম্পে কীভাবে রেশন নিয়ে জালিয়াতি চলে তার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
শ্রীনগরের বিমানবন্দরের কাছে হুমহামায় বিএসএফ হেড কোয়ার্টারের নিকটের দোকানগুলি সস্তায় পেট্রোল, ডিজেল ও খাবার সামগ্রী অর্ধেক দামে পেয়ে থাকে। এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জওয়ান।
তাদের দাবি, সেনা আধিকারিকেরা ডাল, সবজির মতো খাদ্যশস্য বাইরে কম দামে বেচে দেন। ফলে আমাদের বঞ্চিত করা হয়। এমনকী নিত্যদিনের ব্যবহারের নানা সামগ্রীও দালাল ধরে ক্যাম্পের বাইরে পাঠিয়ে বেচে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।
এক সিভিল কনট্রাক্টর জানিয়েছেন, বিএসএফ আধিকারিকদের কাছ থেকে তাঁরা পেট্রোল কেনেন বাজারের অর্ধেক দামে। চাল, মশলাপাতির মতো জিনিসও বাজারের থেকে সস্তা দামে তারা কিনে থাকেন। এক আসবাব বিক্রেতা জানিয়েছেন, ক্যাম্পের জন্য আসবাব কেনার সময়ে কমিশন নেন সেনা আধিকারিকেরা। এমনকী সস্তার জিনিস কিনে তা থেকে মোটা টাকা আদায় করতেও পিছপা হন না।
ঠিক একই ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে সিআরপিএফ অফিসারদের ক্ষেত্রেও। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। যদি এই অবস্থা সত্যিই থেকে থাকে তাহলে তার দায় কে নেবে?