বরপক্ষকে দিয়ে ১০ হাজার গাছ পুঁতিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসল কনে
ভোপাল, ২৬ এপ্রিল : পরিবেশের ভয়ঙ্কর অবস্থা নিয়ে শুধু পরিবেশবিদেরাই ভাবেন এমন নয়। সাধারণ মানুষও এই নিয়ে চিন্তা করেন বৈকি। তার প্রমাণ দিলেন মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলার বাসিন্দা ২২ বছরের প্রিয়াঙ্কা ভদোরিয়া। [বাড়িতে শৌচাগার নেই পাত্রের : গণবিবাহের আসরে পাত্র পাল্টে বিয়ে তরুণীর]
চৌহান পরিবারের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল প্রিয়াঙ্কার। বিয়ের সময়ে নিজের পছন্দের কিছু কনেকে দেওয়া হয় শ্বশুরবাড়ির তরফে। এমনটাই নিয়ম। তা মেনেই প্রিয়াঙ্কা কি নিতে চান তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। [চেন্নাইয়ে নয়টি বিয়ে ভেস্তে গেল জয়ললিতার কারণেই]
জবাবে শ্বশুরবাড়ির কাছে কনে আবদার করেন গ্রামে ১০ হাজার গাছের চারা লাগানোর। এমন মহান প্রস্তাব শুনে শ্বশুরবাড়ির কেউই আপত্তি করেননি। এককথায় তাঁরা রাজি হয়ে যান। সেইমতো গত শুক্রবার বিয়ে হয়েছে এই দম্পতির। সেই দিনটি আবার ছিল 'ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে'। ['নগ্ন সেলফি'-র আবদার হবু বরের, বিয়ের বানচাল ক্ষুব্ধ কনের]
প্রিয়াঙ্কার বেড়ে ওঠা ভিন্দের কৃষিপুরা গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই গাছপালার প্রতি অসম্ভব টান রয়েছে তাঁর। মাত্র দশ বছর বয়স থেকেই সে গাঁছ পুঁতছে। আর তাই কিছু চাওয়ার প্রস্তাব আসতেই গাছ লাগানোর কথাই সবচেয়ে আগে মনে আসে প্রিয়াঙ্কার। [স্ত্রী পরপুরুষকে ভালোবাসে, খুশি মনে দুজনের বিয়ে দিলেন স্বামী]
সেইমতো দশ হাজার গাছের চারার মধ্যে অর্ধেক চারাগাছ সে নিজের বাপের বাড়িতে পুঁতেছে। বাকী চারাগাছ পোঁতা হয়েছে শ্বশুরবাড়িতে। নতুন বৌমার এমন ভাবনা ও কর্মকাণ্ডে বেজায় খুশি জালায়ুন এলাকায় বসবাসরত চৌহান পরিবার। বলা যায়, একেবারে গর্বে বুক ফুলে উঠেছে তাঁদের।