বাচ্চার হাতে মোবাইল দেওয়ার আগে সাবধান, এই খবর বাবা-মায়ের কাছে শিক্ষা হতে পারে
মোবাইল হাতে না পেয়ে নিজের হাত কেটে ফেলল ন'বছরের ছাত্র, কাউন্সেলিংয়ের পর কেটেছে মোবাইল নির্ভরতা, কাউন্সেলিং বাবা- মায়েরও ।
নিজেদের সময় বাঁচাতে দুধের শিশুর হাতে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দেওয়ার ফল যে কী মারাত্মক হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন হরিয়ানার এক দম্পতি। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই একমাত্র সঙ্গী মোবাইলটি কাছছাড়া হওয়ায় নিজের হাতে ছুরি পর্যন্ত চালিয়ে ফেলল বর্তমানে চতুর্থ শ্রেণির এই ছাত্রটি।
হাসপাতাল
থেকে
ছাড়া
পাওয়ার
পর
আপাতত
মনোবিদের
কাছে
কাউন্সেলিং
চলছে
ওই
ছাত্রদের।
কাউন্সেলিং
চলছে
তার
বাবা-
মায়েরও।
কিন্তু
কেন
দুধের
শিশুর
হাতে
মোবাইল
তুলে
দিয়েছেন
ওই
দম্পতি
ওই
দম্পতি
জানাচ্ছেন,
একদম
ছোট
বয়সে
মোবাইল
হাতে
পেলে
খুব
তাড়াতাড়ি
খেয়ে
নিত
তাঁদের
একমাত্র
ছেলে।
খাওয়া,
ঘুম
সবসময়ের
সঙ্গী
ছিল
ওই
মোবাইলটি।
এরপর
মাত্র
চার
বছর
বয়সেই
তার
হাতে
একটি
মোবাইল
ফোন
উপহার
হিসেবে
তুলে
দেন
তাঁরা।
কিছুদিনের
মধ্যেই
ওই
মোবাইলটি
তার
সবচেয়ে
পছন্দের
খেলনা
হয়ে
দাঁড়ায়।
বছর খানেক আগে তাঁরা জানতে পারেন এতদিন ধরে যে মোবাইল ফোনকে ছেলের সঙ্গী ভেবে আসছিলেন তাঁরা, সেই মোবাইল ফোনই কতটা ক্ষতি করে ফেলেছে। এতদিনে সেই মোবাইল ফোন তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাঁরা বুঝতে পারেন, অল্প সময়ের জন্যও মোবাইল ফোন কাছ ছাড়া হলেও রেগে যাচ্ছে বর্তমানে ৯ বছরের ওই ছেলেটি। এমনকি, তার স্কুলে কোনও বন্ধু নেই, কারও সঙ্গে মেলামেশা নেই। কথা-বার্তাও খুব প্রয়োজন ছাড়া বলে না। হাতে সারাক্ষণ ধরা থাকে মোবাইল ফোন। দিন কয়েক আগে বেগতিক বুঝে মোবাইলটি সরিয়ে রাখেন ওই দম্পতি। আর তাতেই রেগে গিয়ে নিজের হাতে ছুরি চালিয়ে ফেলে চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রটি। তার চিকিৎসা করতে গিয়েই বিষয়টি ধরতে পারেন চিকিৎসকরা।
এরপরই মনোবিদের কাছে কাউন্সেলিংয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। আপাতত মোবাইল ছাড়া কীভাবে বাঁচা যায়, তা শেখানো হচ্ছে ওই ছেলেটিকে। সে এখন টেবল টেনিস খেলছে, গান শিখছে এমনকী তার নতুন বন্ধু-বান্ধবও হয়েছে। মনোবিদ রাজীব মেহতা জানাচ্ছেন, মোবাইল ছেড়ে গান -বাজনা, খেলাধূলোয় রীতিমত আগ্রহ পাচ্ছে সে। সেইসঙ্গে তার বাবা-মায়েরও কাউন্সেলিং হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত এক বেলা একসঙ্গে খাবার টেবিলে বসা, সপ্তাহে একদিন একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই দম্পতিকে।