বিমান দুর্ঘটনায় নয়, ১৯৮৫ সালে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নেতাজির!
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধানের মতোই রহস্যময় তাঁর মৃত্যু রহস্যও। এতদিনেও তা নিয়ে আমলা থেকে আমজনতা সবার মধ্যেই সমান কৌতুহল বিরাজমান। তিনি ১৯৪৫ সালে সেই বহুচর্চিত বিমান দুর্ঘটনার মারা গিয়েছিলেন নাকি স্তালিন তাঁকে খুন করেছিলেন নাকি পরে ১৯৮৫ সালে ফৈজাবাদে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নেতাজির তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে।
নেতাজির উপর নজরদারি বিতর্কে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরি করল কেন্দ্র
নেতাজির উপর নজরদারি নিয়ে তৈরি ফাইলগুলি প্রকাশ্যে আনা উচিত কিনা তা নিয়ে গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে সরকারি কমিটি তৈরি হয়েছে যা এই ফাইলগুলির উপর জারি হওয়া 'সরকারি গোপনীয়তা আইন'-এর যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে।
তবে অনূজ ধর যিনি নেতাজির উপরে 'ইন্ডিয়াস বিগেস্ট কভার আপ' শীর্ষক বই লিখেছেন তিনি একশো শতাংশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে দাবি করেছেন, ১৯৪৫ এর বিমান দুর্ঘটনায় নয়, নেতাজি ১৯৮৫ সালে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রয়াত হয়েছেন।
ওয়ানইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, "আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি যে, ১৯৮৫ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর ফৈজাবাদে নেতাজি প্রয়াত হন। তিনি সেখানে ভগবানজী নামে পরিচিত ছিলেন।" যখন তিনি মারা যান তখন স্থানীয়রা জানত যে ওই ব্যক্তি নেতাজি ছাড়া আর কেউ নন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন অনূজবাবু।
গত কয়েকদিন ধরে চলা বিতর্কের পর নেতাজির উপর নজরদারি বিতর্কের ঘটনার গুরুত্ব উপলব্ধি করে গতকাল উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। যে নথিগুলি নিয়ে এত হট্টগোল সেই নথিগুলি আদৌও প্রকাশ্যে আনা উচিত কিনা তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি।
কারণ কয়েকদিন আগে কেন্দ্রের একটি গোপন রিপোর্ট ফাঁস হওয়ায় জানা যায়, ১৯৪৮-১৯৬৮, এই কুড়ি বছর তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নির্দেশে নজরদারি চালানো হত নেতাজির পরিবারের লোকেদের উপর। এক ইংরেজি দৈনিকে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়। সেইসময় রাজ্যে ও কেন্দ্রে কংগ্রেসের সরকার ছিল। তখন বেশিরভাগ সময় জুড়েই দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহরু।