মুসলিমদের কাছে সম্পত্তি বিক্রিতে বাধা, সুরাতে ডিএ আইন লাগুর দাবি বিজেপি বিধায়কের
সুরাতের লিম্বায়েত বিধানসভা এলাকায় 'ডিসটার্বড এরিয়াস অ্যাক্ট' চালু করার দাবি করলেন স্থানীয় বিধায়ক সঙ্গীতা পাটিল।
সুরাতের লিম্বায়েত বিধানসভা এলাকায় 'ডিসটার্বড এরিয়াস অ্যাক্ট' চালু করার দাবি করলেন স্থানীয় বিধায়ক সঙ্গীতা পাটিল। তাঁর অভিযোগ, এই অঞ্চলের মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর সম্পত্তি জোর করে কিনে নিতে চাইছে৷
সুরাতের লিম্বায়েতের বাসিন্দারা একাধিকবার তাঁর কাছে বিষয়টি নিয়ে তার কাছে দরবার করেছে বলে জানিয়েছেন সঙ্গীতা পাটিল। এরপরই এই আইন লাগুর জন্য জেলাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন তিনি।
গুজরাতের কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই 'ডিসটার্বড এরিয়াস অ্যাক্ট' চালু রয়েছে। আইনটি হল, দ্য গুজরাত প্রোহিবিশন অফ ট্রান্সফার অফ ইমমুভেবল প্রোপারটি অ্যান্ড প্রোভিশন ফর প্রোটেকশন ফ্রম এভিকশন ফ্রম প্রেমিসেস ইম ডিসটার্বড এরিয়াজ অ্যাক্ট ১৯৯১।
লিম্বায়েত
একটা
সময়
হিন্দু
অধ্যুষিত
অঞ্চল
ছিল
বলে
জানিয়েছেন
বিধায়ক
সঙ্গীতা
পাটিল।
কিন্তু
এখন
এলাকার
বেশ
কিছু
জায়গা
যেমন,
গোবিন্দনগর,
ভারতীনগর,
মদনপুরা
ও
ভাবনা
পার্ক
অঞ্চলে
মুসলিমদের
বসবাস
বেশি৷
তারাই
এখন
হিন্দুদের
সম্পত্তি
বিক্রিতে
চাপ
দিচ্ছে
এবং
জোর
করে
তাদের
সম্পত্তি
কিনে
নিতে
চাইছে
বলেও
অভিযোগ
করেছেন
ওই
বিধায়ক৷
বিজেপি
বিধায়কের
মতে,
এই
প্রবণতা
আটকাতে
তিনি
এই
আইন
লাগু
করার
আর্জি
জানিয়েছেন।
বিজেপি বিধায়কের আরও অভিযোগ, 'মুসলিমরা হিন্দু পরিবারের কাছে বেশি দাম দিয়ে সম্পত্তি কিনে নিতে চাইছে৷' সুরাতের বেশ কিছু অঞ্চলে এই আইন বলবত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপি বিধায়কের এই আর্জির কড়া সমালোচনা করেছেন, কংগ্রেস নেতা আসলাম সাইকেলওয়ালা ৷ বিজেপি বিধায়ক এই ধরনের আইন লাগু করে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকে আরও উস্কে দিতে চাইছে, বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
কংগ্রেসের অভিযোগ, স্থানীয় মানুষের অসুবিধা বুঝতে না পেরে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে পা বাড়াচ্ছে ওই বিধায়ক ৷ যদি সত্যিই মুসলিমরা হিন্দুদের হুমকি দিয়ে থাকে, তাহলে সেই ঘটনা কেন পুলিশের কাছে বলছেন না। কেনই বা সেই ঘটনা বিধানসভায় তোলা হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও করেছেন ওই কংগ্রেস নেতা।