স্যোশাল সাইটে রাজনৈতিক দলের উসকানির মাঝে বসিরহাটে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির নজির
দিল্লির বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা টুইটারে যেমন গুজরাতের ছবি বাংলার বসিরহাটের বলে চালান করেছেন, সেখানেই বসিরহাটের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির ছবি স্যোশাল সাইটে উঠে এসেছে।
দিল্লিতে বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা টুইটারে জনরোষের মুখে পড়েছেন। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার একটি ছবি বাংলার বলে চালিয়ে দিয়েছেন তিনি। দাবি করেছেন বসিরহাটে হওয়া গন্ডগোলের ছবি বলে। তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
অভিযোগ উঠেছে, তিনি টুইটারে বাংলা ও হিন্দুদের বাঁচানোর আর্জি জানিয়ে গুজরাত দাঙ্গার ছবি দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার সেরেছেন। তা দেখেই টুইটারাইটরা এভাবে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর দায় চাপিয়েছেন বিজেপি নেত্রীর ঘাড়ে।
যদিও তাতে দমে না গিয়ে স্যোশাল সাইটে নিজের কীর্তি নিয়ে বলেছেন, আমি বাংলা থেকেই এই ছবিগুলি পেয়েছি। সেগুলিই স্যোশাল সাইটে পোস্ট করেছি। মানুষ এতে সজাগ হয়ে উঠবে। যা দেখে অনেকেই দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ করে নূপুর শর্মাকে গ্রেফতার করার আর্জি জানিয়েছেন।
বিজেপি নেত্রী নূপুরের অভিযোগ, তাঁকে অভিযোগের তিরে বিদ্ধ না করে বরং বাংলায় যা চলছে সেই দাঙ্গার দিকে সকলের নজর ফেরানো উচিত। সংখ্যালঘুদের তোল্লাই দিয়ে মাথায় তোলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিজেপি নেত্রীর।
যদিও স্যোশাল সাইটেই অন্য একটি ছবি কিন্তু অন্য কথা বলছে। দেখা যাচ্ছে, বসিরহাটে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির অনন্য নজির। রাখী বন্ধন উপলক্ষ্যে এলাকার হিন্দু-মুসলমান জনগণ একসঙ্গে প্রতীকী উৎসব পালনে ব্রতী হয়েছেন। যা দুই ধর্মের ঐক্যকেই আরও মজবুত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। অশান্ত বসিরহাটে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। সেখানে কোনও এক বিজেপি নেত্রীর মিথ্যা ছবি নয়, সম্প্রীতির আসল চিত্র ফুটে উঠেছে।