ফের বিহারে পরীক্ষা কেলেঙ্কারি! দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম স্থানাধিকারীকে নিয়ে সংশয়
বিহার বোর্ড পরীক্ষায় শীর্ষ স্থানাধিকারীকে নিয়ে ফের তৈরি হল সংশয়। যার ফলে ফের একবার মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। কলা বিভাগে শীর্ষস্থান পাওয়া গণেশ কুমারকে নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
গতবছরের পর এবছরও বিহার বোর্ড পরীক্ষায় শীর্ষ স্থানাধিকারীকে নিয়ে তৈরি হল সংশয়। যার ফলে ফের একবার মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। কলা বিভাগে শীর্ষস্থান পাওয়া গণেশ কুমারকে নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। কারণ ফলাফল বেরনোর পর থেকেই গণেশকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে অবশেষে তাঁর খোঁজ মিলেছে।
ঝাড়খণ্ডের গিরিধের বাসিন্দা গণেশ কুমার সমস্তিপুরের রাম নন্দন সিং জগদীপ নারায়ণ কলেজের ছাত্র। বিহার বোর্ডের ফলাফল ঘোষণার পরই সে বেপাত্তা হয়ে যায়। যা নিয়ে জল্পনা উসকে উঠেছে।
ভর্তির সময়ে যে তথ্য সে দিয়েছে সেই অনুযায়ী গণেশের জন্ম ১৯৯৩ সালের ২ জুন। অর্থাৎ সে ২৪ বছরের যুবক। যদিও একজন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র হিসাবে তার বয়স হওয়ার কথা ১৭-১৯ বছরের মধ্যে। এমনকী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক জওহর প্রসাদও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে গণেশ কলা বিভাগে প্রথম হয়েছে।
পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, গণেশ মিউজিক প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় সবমিলিয়ে ৮৩ নম্বর পেয়েছে। এছাড়া হিন্দিতে ১০০-র মধ্যে ৯২ নম্বর পেয়েছে।
সংবাদমধ্যমের তরফে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা গিয়েছে, সে চার বছর আগে বাড়ি ছেড়ে গিয়েছে। তারপর আর ফেরেনি। যদিও বিহার বোর্ডের চেয়ারম্যান আনন্দ কিশোর জানিয়েছেন, যোগ্য ছাত্র হিসাবেই কলা বিভাগে প্রথম হয়েছে গণেশ।
প্রসঙ্গত, এবছর বিহারের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৬৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছে। গতবছর কলা বিভাগের ছাত্রী রুবি রাই টাকা খাইয়ে ভুয়ো রেজাল্ট বের করে প্রথম স্থান পায়। আরও অনেক ছাত্র টাকা দিয়ে মেধা তালিকায় নাম তুলেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তদন্তে সত্যি বেরিয়ে আসার পরে এবছর কড়া হাতে পরীক্ষা নেয় বিহার বোর্ড। তবে এবারও শেষপর্যন্ত বিতর্ক পিছু ছাড়ল না বলেই মনে হচ্ছে।