ধর্ষিতার নাম-ধাম ফেসবুকে প্রকাশ করে ভর্ৎসনার মুখে বিহার পুলিশ
পাটনা, ২৮ জুন : সাধারণত ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধে নারীর সম্ভ্রম অক্ষুণ্ণ রাখতে নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয় না। এক্ষেত্রে প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যম দুক্ষেত্রেই অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। তবে বিহার পুলিশ করল ঠিক তার উল্টো। এক ধর্ষিতার নাম একেবারে ফেসবুকে প্রকাশ করে বিতর্ক বাড়াল বিহার পুলিশ। [বিহারে পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে গেলে দিতে হয় ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ]
অভিযোগ, নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় ধর্ষিতা এক মহিলার পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই বিহারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ফেসবুক পাতা থেকে সেই পোস্টটি মুছেও দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি। ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। [বিহারে সাদা খাতা জমা দিয়েও পরীক্ষায় পাশ!]
বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ঘটনায় পুলিশের চূড়ান্ত অপদার্থতা প্রমাণিত হয়েছে। এর ফলে প্রমাণ সংগ্রহে অসুবিধায় পড়বে পুলিশ। এমন ঘটনায় জড়িত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন বিহারের রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। [বিহারে যৌনাঙ্গে পিস্তল, কাঠের টুকরো ঢুকিয়ে গণধর্ষণ]
এই ঘটনায় ক্ষমতাসীন জেডিইউ নেতৃত্বও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এমন সংবেদনশীল বিষয়কে প্রকাশ্যে আনার পিছনে যারা জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন জেডিইউ নেতা শ্যাম রাজাক। [বিহারে নেশার অভাবে অসুস্থ ৭৫০]