বানভাসী বিহার জুড়ে স্বজন হারানোর কান্না,মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০০, বাতিল ১১ টি ট্রেন
রবিবার থেকে ৫১ জনের মৃ্ত্যুর দুঃসংবাদ আসছে। সব মিলিয়ে বিহারের বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ জন।
একের পর এক বাঁধ ভেঙে পড়েছে। কোশি , মহানন্দার জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা । জলের তোড়ে স্বজনকে চোখের সামনে ভেসে চলে যেতে দেখেছেন অনেকে। এরকমই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে বিহারে বন্যা দুর্গতদের মৃত্যুর সংখ্যা। রবিবার থেকে ৫১ জনের মৃ্ত্যুর দুঃসংবাদ আসছে। সব মিলিয়ে বিহারের বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ জন।
বন্যা পরিস্থিতির জেরে মোট ১১ টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জয়নগর-পাটনা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। লিঙ্ক এক্সপ্রেস, দারভাঙা- অমৃতসর এক্সপ্রেস, ও অমৃতসর-দারভাঙা এক্সপ্রেস।
বিহারের ১৮ টি জেলার মধ্যে ১.৩৮ কোটি মানুষ এখনও বন্যার কবলে। প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত বহু এলাকা। এঁদের মধ্য়ে ৭. ৩৪ লাখ মানুষকে সরানো হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন ৩ লক্ষের ও বেশি মানুষ। গোটা রাজ্যে মোট ১,৩৪৬ টি ত্রাণ শিবির রয়েছে। আরারিয়া জেলাতে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, সেখানে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৭১ জন। সীতামারহিতে ৩৪ জন মারা গিয়েছেন। পশ্চিম চম্পারনে ২৯ , কাটিহারে ২৬, মধুবনীত ২২, দারভাঙাতে ১৯ , সুপুলে ১৩ , সারানে ৬ জনের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছেছে।
এদিকে, বিহারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির জেরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। প্রশাসন সূত্রের খবর, বিভিন্ন জায়গায় আকাশপথে ত্রাণের খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল সহ সেনার বিভিন্ন দল উদ্ধারের কাজে নেমেছে।