ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে ও তুলতে ৭০০ জনকে ব্যবহার করেছিলেন ভাজিওয়ালা
ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা এবং টাকা জমা দেওয়ার জন্য ৭০০ জন লোককে ব্যবহার করেছিলেন সুরাতের ব্যবসায়ী কিশোর ভাজিওয়ালা। ভাজিওয়ালার সম্পত্তির পরিমাম প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
আহমেদাবাদ, ২৬ ডিসেম্বর : সুরাতের ব্যবসায়ী কিশোর ভাজিওয়ালা, যার থেকে হিসাব বহির্ভূত ১০.৪৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল আয়কর দফতর তাঁর বিরুদ্ধে নতুন চমকে দেওয়া তথ্য সামনে এল। কালো টাকা সাদা করতে একাধিক জাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বানিয়েছিলেন এই ভাজিওয়ালা। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা এবং টাকা জমা দেওয়ার জন্য ৭০০ জন লোককে ব্যবহার করেছিলেন তিনি।
ভাজিওয়ালার সম্পত্তির পরিমাম প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। আয়কর দফতর সূত্রের খবর, ভাজিওয়ালার ২৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যার মধ্যে ২০টি বেনামি অ্যাকাউন্ট। এর মাধ্যমেই মোটা টাকার ব্যাঙ্ক লেনদেন হয়েছিল। যদিও কত টাকা ব্যাঙ্কে ভাজিওয়ালা জমা দিয়েছে বা তুলেছে তার পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
আয়কর দফতর ইতিমধ্যে ভাজিওয়ালার কাছ থেকে নতুন নোটে ১,৪৫,৫০,৮০০ টাকা,১,৪৮,৮৮১৩৩৩ টাকার সোনা, ৪,৯২,৯৬,৩১৪ টাকার সোনার গহনা, ১,৩৯,৩৪,৫৮০ টাকার হীরের গহনা এবং ৭৭,৮১,৮০০ টাকার রূপার গহনা বাজেয়াপ্ত করেছে। ভাজিওয়ালার মামলা এখন সিবিআই-এর হাতে রয়েছে।
সিবিআই সুত্রের খবর, গত ১২, ১৩ ও ১৪ তারিখ আলাদা আলাদা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ, ২ লক্ষ এহং ৪ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেয় ভাজিওয়ালা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কালো টাকা সাদা করতে ২১২ জনের সাহায্য নিয়েছিল ভাজিওয়ালা।
এছাড়াও ১.৪৫ কোটি টাকার নতুন নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ভাজিওয়ালার কাছ থেকে। সিবিআই সূত্রের দাবি, অন্যান্য যে অ্যাকাউন্টগুলির সাহায্যে কালো টাকা সাদা করিয়েছে ভাজিওয়ালা সেই অ্য়াকাউন্টের হদিশ পেতে আধিকারিকরা মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। সিবিআই-এর অনুমান এই কাজে ব্যাঙ্কের আধিকারিকরাও মদত দিয়েছে ভাজিওয়ালাকে। না হলে এত বড় অঙ্কের নতুন নোট কারোর কাছে আসা সম্ভব নয়। যে যে ব্যাঙ্কে ভাজিওয়ালার অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেই ব্যাঙ্কগুলিতেও জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই।