গুণধর ছেলে! বাবা-মায়ের ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট ফেসবুকে, তারপর যা হল
ফেসবুকে আসক্ত এক ১৩ বছরের কিশোর নিজের বাবা-মায়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তুলে তা পাঠিয়ে দিয়েছে। তারপরই সেই অচেনা ফেসবুক বন্ধু কিশোরকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে।
বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী সস্ত্রীক পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হয়েছেন। কারণ তাঁদের ছেলের কীর্তিতে আপাতত মুখ লুকোনোর জায়গা নেই তাঁদের।
জানা গিয়েছে, ফেসবুকে আসক্ত এই দম্পতির ১৩ বছরের কিশোর নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়মিত স্যোশাল সাইটে নজর রাখত। সেই ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একাধিক বন্ধুও জুটে গিয়েছিল। তাদের কাউকেই সে চেনে না। এমনই এক অচেনা বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সে নিজের বাবা-মায়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তুলে তা পাঠিয়ে দেয়।
এরপরই সেই অচেনা ফেসবুক বন্ধু কিশোরকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে। হুমকি দেয়, যদি ১ কোটি টাকা না দেওয়া হয় তাহলে এই ভিডিও অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইটে পোস্ট করে দেওয়া হবে।
পরে সেই ঘটনা জানতে পারেন কিশোরের বাবা। বেসরকারি সংস্থার চাকুরে, ৪৪ বছর বয়সী ব্যক্তি তখন বেঙ্গালুরুর সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হন।
কিশোরের থেকে জানা গিয়েছে, সে বয়স ভাড়িয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে। ২০১৬ সালের জুন মাসে তেজল প্যাটেল নামে এক অচেনা ব্যক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পায় এবং তা গ্রহণ করে। এরপর এই বছরের এপ্রিল মাস থেকেই তেজল নামে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে আপত্তিকর ভিডিও, ছবি আসতে শুরু করে। বেশিরভাগই তার মধ্যে শিশু পর্নোগ্রাফি।
এর পাশাপাশি সেক্স চ্যাটও শুরু হয়। সেইসময়ে কিশোর তার নগ্ন ছবি পাঠায়। এরপরে তেজলের অ্যাকাউন্ট থেকে কিশোরের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যদের ন্যুড ছবি পাঠাতে বলা হয়।
তা শুনে কিশোরটি নিজের বাবা-মায়ের অন্তরঙ্গ ভিডিও পাঠায়। তারপরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেলের পালা। হুমকি দেওয়া হয়, ১ কোটি টাকা না দিলে নগ্ন ছবি অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে।
পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে কিশোর নিজে থেকেই বাবা-মাকে পুরো বিষয়টি জানায়। তারপরই বেঙ্গালুরুর সাইবার ক্রাইম শাখার অভিযোগ জানিয়ে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।