#Demonetisation : এই ৬জন গোপনে কাজ সেরেছেন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে বসে
একমাস আগে ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় নোট বাতিলের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার পিছনে কাজ করেছেন রাজস্ব সচিব হাসমুখ আদিয়া নামে এক আমলা। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন আরও পাঁচ আমলা।
নয়াদিল্লি, ৯ ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাছাই করা বিশ্বস্ত কয়েকজন আমলা যাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের বাইরে কেউ সেভাবে চেনে না, তারাই নোট বাতিলের গোটা কর্মকাণ্ডের অপারেশন চালিয়েছেন গোপনে, নেপথ্যে থেকে।
কীভাবে কালো টাকা ধরতে 'সিক্রেট অপারেশন' চালিয়েছেন, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
গুজরাতে নতুন ২ হাজার টাকার নোট দিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ঘুষ!
একমাস আগে ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় নোট বাতিলের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার পিছনে কাজ করেছেন রাজস্ব সচিব হাসমুখ আদিয়া নামে এক আমলা। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন আরও পাঁচ আমলা। গোটা কর্মকাণ্ডকেই চূড়ান্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সাড়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই ৬জনকে সঙ্গ দিয়েছেন একদল যুব গবেষক যারা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দুটি ঘর দখল করে রেখে গোটা অপারেশনকে বাস্তব করে তুলেছেন। আর এই পুরো জিনিসটাই হয়েছে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে।
#Note বাতিলের সিদ্ধান্তের পর একটাও চুরি হয়নি দেশের এই রাজ্যে
নোট বাতিল হবে, ৬ মাস আগে জানিয়েছিল গুজরাতের সংবাদপত্র!
২০১৪ সালে কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়ার অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। সেই লক্ষ্যেই পৌঁছতে অনেকে এই পদক্ষেপকে মোদীর মাস্টারস্ট্রোক হিসাবে উল্লেখ করেছেন। অনেকে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক গিমিক বলতেও ছাড়েননি। তবে ঘটনা হল একমাস আগে মধ্যরাত থেকে ৫০০ ও ১ হাজারের নোট যা মোট নগদের ৮৬ শতাংশ দখল করে রেখেছিল, তা বাতিল হয়ে গিয়েছে।
এই কর্মকাণ্ড গোপন রাখার মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে কালো টাকার কারবারি ও দুর্নীতিবাজরা বেহিসাবি টাকা সোনা কিনে অথবা জমি-বাড়ি কিনে বদলে ফেলতে না পারেন। আর সেজন্যই এত গোপনীয়তা। এমনটাও জানা গিয়েছে যে মোদী দাবি করেছিলেন, যদি নোট বাতিলের ঘটনা ফেল করে তাহলে সমস্ত দায় তিনি নিজের কাঁধে নেবেন।
হাসমুখ আদিয়া ২০০৩-০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যসচিব ছিলেন। এরপরে ২০১৫ সালে তাঁকে কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব করা হয়। নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত বিশ্বস্ত আদিয়ার সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে রিপোর্ট করার কথা থাকলেও ক্ষেত্রবিশেষে আদিয়া একেবারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করতে হলে দুজনে গুজরাতিকে কথা বলেন।