৩৫০০ টাকা চাইতেই এটিএম থেকে বেরিয়ে এল ২০০০ টাকার ৩৫টি নোট
এটিএম-এর ত্রুটির কারণে বলা চলে ধনী হয়ে গেলেন জিতেশ। এটিএম-এর মেশিনে ৩,৫০০ টাকা টাইপ করেছিলেন জিতেশ। কিন্তু এটিএম মেশিন থেকে বেরিয়ে এল ২০০০ টাকার ৩৫টি নোট। অর্থাৎ ৭০,০০০ টাকা।
জয়পুর, ১৮ জানুয়ারি : নোট সঙ্কটে যেখানে মানুষ এটিএম থেকে টাকা পেতে হা-পিত্তেশ করছে সেখানে রাজস্থানের এটিএম-এ যা ঘটল তা কল্পনার অতীত। রাজস্থানের টঙ্ক প্রদেশের বাসিন্দা জিতেশ দিবাকর ভাবতেও পারেননি তাঁর সামনে ঠিক কি হতে চলেছে।
এটিএম-এর ত্রুটির কারণে বলা চলে ধনী হয়ে গেলেন জিতেশ। মঙ্গলবার জয়পুর থেকে ৮০ কিলোমিটার দুরে একটি এটিএম-এ রীতিমতো টাকার বৃষ্টি দেখলেন দিতেন।
আসলে এটিএম-এর মেশিনে ৩,৫০০ টাকা টাইপ করেছিলেন জিতেশ। কিন্তু এটিএম মেশিন থেকে বেরিয়ে এল ৭০,০০০ টাকা।
তবে জিতেশ একমাত্র ব্যক্তি যিনি এটিএম থেকে বিশাল পরিমান টাকা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ককে এই বিষয়ে খবর দিয়েছে। জিতেশের আগে বেশ কয়েকজন অতিরিক্ত টাকা পেয়ে খুশি হয়ে তা নিয়ে চলে গিয়েছেন।
এটিএমটি বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত ৬.৬৭ লক্ষ টাকা মেশিন থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ১০ জনের মধ্যে এই বিশাল পরিমাণ টাকা ভাগ হয়ে গিয়েছে। সম্ভবত ১০০ টাকার নোটের জায়গায় সবকটি ২০০০ টাকার নোট মেশিন থেকে বের হয়েছে।
ব্যাঙ্কে কর্তৃপক্ষের তরফে পরে জানানো হয়, আসলে ১০০ টাকার নোটের স্লটে ২০০০ টাকার নোট মেশিনে ঢোকানো হয়েছিল। সাধারণত, তা হয় না কারণ, মেশিনের সেন্সর তা গ্রহণ করে না। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। তার ফলেই এই ত্রুটি।
ব্যাঙ্কের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যারা অতিরিক্ত টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করছে। যারা টাকা নিয়ে চলে গিয়েছেন তাদের শনাক্ত করতে এটিএম-এর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।