মিয়ানমারের সাথে শান্তি আলোচনায় বসতে চায় আরসা
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অধিকারের জন্য যুদ্ধ করছে বলে দাবি করে এমন একটি সশস্ত্র সংগঠন 'আরসা' বলছে, তারা বার্মার সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে চায়।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অধিকারের জন্য যুদ্ধ করছে বলে দাবি করে এমন একটি সশস্ত্র সংগঠন বলছে, তারা বার্মার সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে চায়।
এক বিবৃতিতে 'আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি ' বা 'আরসা' বলেছে, তারা সেপ্টেম্বর মাসে যে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল - তা সোমবার শেষ হচ্ছে।
এ বছর আগস্ট মাসের শেষ দিকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ফাঁড়ির ওপর আরসার সশস্ত্র বিদ্রোহীরা অনেকগুলো আক্রমণ চালায়। ওই আক্রমণে দুপক্ষে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়।
এর পর বর্মী সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে । এর ফলে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম বেসামরিক লোক পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়।
বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসার নেপথ্যে কারা?
রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের অস্ত্রবিরতি প্রত্যা্খ্যান করেছে মিয়ানমার
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা এখন ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
রোহিঙ্গা জঙ্গীদের মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ 'সন্ত্রাসী' বলে আখ্যায়িত করে থাকে, এবং সরকার বলেছে যে তারা তাদের সাথে আলোচনায় বসবে না।
জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ দফতরের প্রধান মার্ক লোকক আজ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আবারও বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামবে বলে আশংকা করছেন তারা।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সরকারি বাহিনী যে অভিযান চালিয়েছে তাকে 'তাদেরকে জাতিগতভাবে নিশ্চিহ্ন করার' কার্যক্রম বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।