সিকিম, উত্তরাখণ্ডের পর হিমাচল সীমান্তে চিনের দাপাদাপিতে নতুন করে বাড়ছে আশঙ্কা
হিমাচলপ্রদেশে ভারত-চিন আন্তর্জাতিক সীমান্তেও চিনা সেনার অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যেভাবে চিন ভারতের সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধির নমুনা প্রদর্শন করছে তাতে আশঙ্কার মেঘ জমতে শুরু করেছে।
ডোকলাম বিতর্ক চলার মাঝেই উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে চিনা সেনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এবার হিমাচলপ্রদেশে ভারত-চিন আন্তর্জাতিক সীমান্তেও চিনা সেনার অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সূত্রের খবর, হিমাচল সীমান্তে চিনা হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গিয়েছে। এছাড়া রাস্তা তৈরির তোড়জোড়ও শুরু করেছে চিনারা। লাহউল ও স্পিতি উপত্যকার বাসিন্দারাই এই খবর প্রশাসনকে জানিয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসার পরই নয়াদিল্লি নড়েচড়ে বসেছে। এই এলাকায় গতবছর থেকেই কাজ চলছে। নতুন করে চিনাদের দাপাদাপি বাড়ায় আশঙ্কা শুরু হয়েছে। যার ফলে ইন্দো তিবেটান বর্ডার পুলিশ দিয়ে এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
হিমাচলপ্রদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বে চিনের ২৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। হিমাচলের শাকটট গ্রাম থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে চিনারা কনস্ট্রাকশনের কাজ করছে। তা গ্রাম থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে নতুন করে উত্তজেনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্মাণ কাজ চিনারা গত এক বছর ধরেই করছে। তব গত কয়েকমাসে সেই কাজের গতিবৃদ্ধি হয়েছে। ভারতের কৌরিক সীমান্ত থেকে ১৯০ কিলোমিটার দূরে লুপসুকে চিনের এয়ারফিল্ড রয়েছে। তবে যেভাবে চিন ভারতের সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধির নমুনা প্রদর্শন করছে তাতে আশঙ্কার মেঘ জমতে শুরু করেছে।
চিনা সীমান্ত প্রহরায় আইটিবিপি-র ২০টি আউটপোস্ট রয়েছে। তার মধ্যে কৌরিকের পোস্টই সবচেয়ে উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন। ডোকলাম নিয়ে সমস্যা মিটবে কবে তা জানা নেই তার মধ্যে উত্তরাখণ্ডের পর হিমাচল প্রদেশ সীমান্তেও চিনা সেনার আনাগোনা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে নয়াদিল্লির কপালে।
এর আগে জুন মাসে ডোকলাম সীমান্তে রাস্তা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে চিনের বিরোধ বাঁধে। সেনা পাঠিয়ে কাজ আটকে দিয়েছে ভারত। যা নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।