For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

সংশোধিত আয়কর আইন কঠোর, অপব্যবহারের সম্ভাবনাই বেশি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

তবে নতুন সংশোধিত আয়কর আইন কত কঠোরভাবে ব্যবহৃত হতে পারে তা নিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্ত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে আয়কর বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

Google Oneindia Bengali News

মুম্বই, ২৩ জানুয়ারি : নোট বাতিলের সমস্যা ক্রমশ এবার থিতু হতে শুরু করেছে। আয়কর দফতরের কর্মীরা যদিও হিসাববহির্ভূত অর্থের খোঁজে এখনও হন্যে হয়ে খুঁজছে। তবে নতুন সংশোধিত আয়কর আইন কত কঠোরভাবে ব্যবহৃত হতে পারে তা নিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্ত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে আয়কর বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।[কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৭-১৮ : যে যে প্রত্যাশা থাকবে আমজনতার]

বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়া, বংশপরম্পরায় পাওয়া গহনা, উপহার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মূলধন, মেয়ে বিয়ের খরচ, এমনকী বাড়ি চালানোর খরচও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে, সন্তোষজনক উত্তর না দিলেই উচ্চহারে আয়কর দিতে হবে।[বদলে যাচ্ছে প্যান কার্ডের চেহারা, জাল করা যাবে না সহজে!]

সংশোধিত আয়কর আইন কঠোর, অপব্যবহারের সম্ভবনাই বেশি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

আয়কর দফতরের কোনও আয় বা খরচ সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে আগে যেখানে ৩৫ শতাংশ আয়কর জরিমানা দিতে হত, এখন সেখানে একজন ব্যক্তিকে ৮৩% পর্যন্ত দিতে হয়।[ধরা পড়লে কালো টাকার মালিকদের কী অবস্থা করবে কেন্দ্র তা জেনে নিন]

মুম্বইয়ের এক প্রবীন আয়কর আধিকারিকের কথায়, "আমরা আমাদের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিলাম, আয়কর আইনে এটি শক্তিশালী বিধান এবং আয়কর দফতরের কাছে হয়তো কালো টাকা থেকে কর আদায়ে তা সুবিধাজনকও মনে হতে পারে। কিন্তু এর অপব্যবহার হওয়ার সম্ভবনাও বেড়ে যাচ্ছে।"[আপনার বার্ষিক আয় কত? তা ঠিক করবে আপনি এলপিজি ভর্তুকি পাবেন কিনা!]

এক আয়কর বিশেষজ্ঞের কথায়, "আয়কর সংশোধনীর মাধ্যমে কর ফাঁকি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কোনও ব্যক্তি আয়কর আইন ১৯৬১-র ১১৫বিবিই ধারার আশ্রয় নিতে বাতিল হওয়া নোট সত্যি জমা দিয়ে থাকেন। তা মেনে নেওয়া কঠিন হবে। আবার হিসাবহির্ভূত ব্যাঙ্ক জমা বা টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনও ব্যক্তি সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেন তাহলে এই ব্যাঙ্ক জমা বা অর্থ পাওয়ার আইনের চোখে সঠিক হবে।"[এবার কীভাবে ধরে ধরে বেহিসাবি টাকা বের করবে সরকার, জেনে নিন]

বিশেষজ্ঞদের মতে, সবচেয়ে উদ্ধেগের জায়গা হল, আয়কর আধিকারিকরা সবসময় চেষ্টা করে যাবেন আপনার (ব্যাখ্যাত আয়ের ক্ষেত্রেও) আয়কে অব্যাখ্যাত প্রমাণ করার, আর করদাতারা চেষ্টা করে যাবেন, অব্যাখ্যাত আয়কে বিশ্বাসযোগ্য কারণ দিয়ে ব্যাখ্যাত প্রমাণ করার। এক্ষেত্রে কোনও একদল সফল হলেও তা ন্যায়সঙ্গত নাও হতে পারে।[আবেদনের দু'দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে প্যান কার্ড!]

আবার অনেকে মনে করছেন, "সংশোধনীতে যা গত ১ এপ্রিল, ২০১৬ থেকে লাগু হয়েছে তাতে করফাঁকিতে জরিমানার কথা হলা হচ্ছে। এও-কে বিষয়ভিত্তিক বিশাল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং এই সংশোধনী করদাতাদের হেনস্থার কমানোর সরকারের বর্তমান লক্ষ্যকে চ্যালেঞ্জ করছে। করের হার ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত।"

প্রসঙ্গত আগে ১১৫বিবিই ধারার লঙ্ঘন হলে ৩০শতাংশ কর দিতে হত তারসঙ্গে সারচার্জ দিতে হত। এখন, কর দিতে হয় ৬০ %, তার সঙ্গে ১৫% সারচার্জ এবং ৩% সেস। সব মিলিয়ে দাঁড়ায় ৭৭.২৬%। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আয়করের ১০ শতাংশ জরিমান, যা সব মিলিয়ে করদাতার উপর ৮৩.২৫% অতিরিক্ত বোঝা বর্তায়।

English summary
Amended I-T law harsh, prone to misuse by taxmen: Experts
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X