ইডির নাগপাশে আরও কোণঠাসা চিদম্বরম পুত্র, বাড়ছে গ্রেফতারির জল্পনা
কার্তি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই PMLA আইনের আওতায় মামলা রুজু করেছে ইডি। আর তারই জেরে তদন্ত আরও প্রসারিত ও শক্তিশালী হতে চলেছে।
কার্তি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই PMLA আইনের আওতায় মামলা রুজু করেছে ইডি। আর তারই জেরে তদন্ত আরও প্রসারিত ও শক্তিশালী হতে চলেছে। সূত্রের খবর, এই মামলার সঙ্গে জড়িত যে যে অপরাধ হয়েছে তার তদন্ত করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করতে পারে।
INX মিডিয়ার বেআইনি টাকা দেওয়ার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছে ইডি। যার ভিত্তিতে সিবিআই আগেই এফআইআর দায়ের করেছিল। সিবিআই এফআইআরে কার্তি চিদম্বরম, তাঁর কোম্পানি চেস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস, INX মিডিয়ার দুই ডিরেক্টর পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখার্জী, INX মিডিয়া, অ্যাডভান্টেড স্ট্র্যাটেজিক কনসাল্টিং সার্ভিসেস এবং তার ডিরেক্টর পদ্মা বিশ্বনাথনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
ইডি সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠানো হবে। কার্তি এই মুহূর্তে পূর্বনির্ধারিত সফরে লন্ডনে থাকলেও এক্ষেত্রে তাঁকেও যে রেয়াত করা হবে না তাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ইডি।
শুক্রবার ইডি আর্থিক দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের (PMLA) আওতায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ছেলে কার্তির বিরুদ্ধে ECIR দায়ের করে।
PMLA
অভিযোগ আইএনএক্স মিডিয়ার বিরুদ্ধে একটি কর-ফাঁকি মামলায় ছাড় পেতে কার্তিকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছিলেন পিটার-ইন্দ্রাণী।একটি সংস্থাকে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ পাইয়ে দিতে নিজের প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে FIPB অনুমোদন পাইয়ে দিয়েছিলেন কার্তি। PMLA-এর আওতায় সে মামালা রুজু করা হয়েছে। সিবিআইয়ের আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তের পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় ইডির এই মামলারও তদন্ত হবে।
মঙ্গলবার সিবিআই, এয়ারসেল -ম্যাক্সিস মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে চারটি শহরে কার্তি চিদম্বরমের বাড়ি ও অফিসে তল্লাসি চালায়। এছাড়াও মোট ১৪টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তারপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা কার্তি-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। একবার মামলা রুজু করা হয়ে গেলে ইডি সম্পত্তি ক্রোক করার প্রক্রিয়া শুরু করবে।
এয়ারসেল-ম্যাক্সিস
এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তিতে এবং ভাসান হেল্থকেয়ারকে বেআইনিভাবে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ পাইয়ে দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় কার্তি ও তার সহযোগী সংস্থাগুলির যোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে ইডি। তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে দেখা যায় অ্যাডভান্টেজ স্ট্র্যাটেজিক কনসাল্টিং নামের একটি সংস্থা যা পরোক্ষে কার্তিই পরিচালনা করেন, তা বেআইনিভাবে FIPB অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকা কনসাল্টেশন ফি নিয়েছিল।এবং তা হয়েছিল যখন পি চিদম্বরম কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন তখন।
কার্তির বাড়ি ও অফিসে সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান
মঙ্গলবার সিবিআই, এয়ারসেল -ম্যাক্সিস মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তল্লাশি চালানোর পর যে এফআইআর দায়ের করে তাতে অভিযোগ করা হয় আইএনএক্স সংক্রান্ত এফডিআই প্রবাহ প্রাথমিকভাবে অনিয়মের কারণে FIPB দ্বারা আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল যার ফলে তা ঝিমিয়ে পড়েছিল। যদিও পরে কার্তির সংস্থা নতুন করে আবেদন করে এবং তা FIPB মঞ্জুর করে। আধিকারিকরা যে শুধু অনিয়মের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ এড়িয়ে গিয়েছিল বরং প্রভাব খাটিয়ে INX গোষ্ঠীর প্রতি অসমুচিত পক্ষপাতও প্রদর্শন করেছিল।
এর পরে সিবিআই লক্ষ্য় করে কার্তি অ্যাডভান্টেজ স্ট্র্যাটেজিক কনসাল্টিংয়ের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। INX মিডিয়ার নামে ৩.৫ কোটি টাকার চালানও দিয়েছিল কার্তির সংস্থা যেখান থেকে স্থায়ী সুদও পেত কার্তির সংস্থা।
{promotion-urls}