আধার নিয়ে পাল্টি খেল কেন্দ্র, সময়সীমা বাঁধার কথা অস্বীকার শীর্ষ আদালতে
আধারকে আবশ্যিক করতে চায় কেন্দ্র।কিন্তু বারবারই শীর্ষ আদালত এর বিরুদ্ধে রায় দিয়ে এসেছে।সম্প্রতি আধারকে আবশ্যিক করতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্র।কিন্তু শীর্ষ আদালতের চাপের মুখে কার্যত ঢোক গিলছে তারা।
আধার কার্ড পাওয়ার সময়সীমা ৩০ জুন ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত রাখা হয়েছে একথা মানতে অস্বীকার করল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদন অনুযায়ী, ৩০ জুনের মধ্যে আধার কার্ড বানানোর সরকারি নির্দেশের উপর অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছিল আবেদনে।
মুকুল রোহাতগি জানিয়েছেন,যাদের আধার কার্ড নেই কিন্তু তাদের কাছে যদি আধারের আবেদনের স্লিপটা যদি থাকে তাহলেও সেটা আধার কার্ড হিসাবেই গ্রাহ্য হবে। তবে ৩০ জুনের মধ্যে যারা আধার কার্ডের জন্য নাম নথিভুক্ত করাতে পারছেন না তারা তারপরেও আধার কার্ড করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি মুকুল রোহাতগি জানান, যে ৩০ জুন কোনও হার্ড অ্যান্ড ফাস্ট সময়সীমা নয়।
শুক্রবার বিচারপতি এ কে খানউইলকারের নেতৃত্বাধীন দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই গোটা ইস্যুটি নিয়ে ভাগে ভাগে শুনানি চায় না আদালত এবং আধার আবশ্যক করার বিরোধিতা করে যে যে আবেদনা জমা পড়েছে তা একসঙ্গে ২৭ জুন একসঙ্গে যাচাই করে দেখা হবে। বিভিন্ন সময়ে সরকারের জারি করা এই সংক্রান্ত যে ১৭টি বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং অন্তবর্তী স্থগিতাদেশের আবেদন জানানো হয়েছে তা একসঙ্গে ২৭ জুন শুনবে আদালত।
অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি শীর্ষ আদালতের কাছে জানিয়ছেন পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বা পিডিএসের মাধ্যমে এই ধরনের প্রকল্পগুলির বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে জারি হয়ে গিয়েছে। আধারকে আবশ্যক করার পিছনে মূল উদ্দেশ্য হল যাতে এই ধরণের সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা যাতে কারও হাতছাড়া না হয়ে যায়। পাশাপাশি তাঁর সওয়াল , বর্তমানে প্রায় ১২০ কোটি মানুষের কাছে আধার রয়েছে। যারা এই প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত হবে তারা কোনও অভিযোগ করছে না, কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে না তারা আদালতের কাছে অভিযোগ করছে, বিরোধিতা করে আবেদন জমা দিচ্ছে।