গরুদের কানে এবার আধারের মতো পরিচয় যাচাইয়ের ১২ সংখ্যার অনন্য নম্বর?
শুধু মানুষ কেন গরুদের জন্যও আধার কার্ডের মতো ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা পরিচয় যাচাইয়ের অনন্য নম্বর থাকা উচিত। সুপ্রিম কোর্টে সোমবার এই প্রস্তাবই রাখা হল কেন্দ্রের তরফে।
নয়াদিল্লি, ২৪ এপ্রিল : শুধু মানুষ কেন গরুদের জন্যও আধার কার্ডের মতো ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা পরিচয় যাচাইয়ের অনন্য নম্বর থাকা উচিত। সুপ্রিম কোর্টে সোমবার এই প্রস্তাবই রাখা হল কেন্দ্রের তরফে।
সংবাদসংস্থা আইএনআই-এর খবর অনুযায়ী, "ভারতের প্রত্যেকটি গরু ও তার বংশকে ট্র্যাক করার জন্য আধারের মতো পরিচয় যাচাইয়ের অনন্য নম্বর থাকা উচিত।"
এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রের প্রস্তাব, দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকদের জন্য যদি বিশেষ প্রকল্প আনা হতে পারে তাহলে গোদোহনের বয়সের আগে পর্যন্ত গবাদি পশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়া হোক। গরু রক্ষা ও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারের বিষয়টিও এদিন আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়।
সূত্রের খবর, পশুপালন দফতরের তরফে প্রযুক্তিবিদদের কাজে লাগানো হয়েছে। যাতে তারা ১২ সংখ্যার একটি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর গরুর কানের মধ্যে লাগাতে পারে।
সূত্রের খবর, প্রায় ১ লক্ষ প্রযুক্তিবিদদের হাতে ৫০,০০০ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। তাদের কাজ হল গবাদি পশুদের কানের মধ্যে নমনীয় ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া। হলুদ রংয়ের এই ট্যাগ গরুর কানের লতিতে লাগিয়ে দেওয়া হবে।
এই ট্যাগ কানে লাগিয়ে দেওয়া হলেই প্রযুক্তিবিদরা ট্যাবলেটে ট্যাগ অ্যাপ্লিকেটর সাহায্যে অনলাইন ডাটাবেসে এই নম্বরটি আপডেট করে দিতে পারবেন। গবাদি পশুর মালিকের কাছে "অ্যানিম্য়াল হেল্থ কার্ড" তুলে দেওয়া হবে।যার মধ্যে UID নম্বর, মালিকের যাবতীয় তথ্য, নিয়মিত ডিওয়ার্মিং বা কৃমির চিকিৎসা করানোর স্ট্যাটাস এবং ভ্যাক্সিনের তথ্য দেওয়া থাকবে।
এর ফলে গরুদের ট্র্যাক করা সুবিধা হবে, ভ্যাক্সিনেশন এবং ডিওয়ার্মিং নিয়মিত হচ্ছে কি না তা নজর রাখা যাবে। এই দুটি নিয়মিত হলেই দুধের উৎপাদন বাড়বে। এবং ২০২২ সালের মধ্যে দুগ্ধ খামারের আয় দ্বিগুন হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তরফে ১৪৮ কোটি টাকা ট্যাগ অ্যাপ্লিকেটর, ট্যাগ, ট্যাবলেট, হেল্থ কার্ড ও আধিকারিকদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।