জন্ম থেকে 'পার্লে জি' বিস্কুট ছাড়া আর কিছুই মুখে তোলেনি এই অষ্টাদশী!
বেঙ্গালুরু, ৫ সেপ্টেম্বর : সবে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের দোরগোড়ায় পা রেখেছে কর্ণাটকের বেলগাভির বাসিন্দা রামান্না। বয়স ছুঁয়েছে ১৮-র কোটা। এই বয়সে নানা খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকবে। নিদেনপক্ষে রাস্তার ফুচকা, আলুকাবলির লোভ থাকবে না এমন আবার হয় নাকি! [১ বছরের শিশুর ২৫ বছরের যুবকের মতো যৌনাঙ্গ]
আজ্ঞে হয়। রামান্নার ক্ষেত্রে হয়েছে। জন্ম থেকে এই ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র বিস্কুট ছাড়া আর কিছু কোনওদিন মুখে তোলেনি সে। আর তাও আবার নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডেরই বিস্কুট, পার্লে জি। শুধুমাত্র এটি খেয়েই বলা যায় বেঁচে রয়েছে সে। [এই 'বিস্ময়-শিশুদের' দেখলেই চমকে উঠবেন!]
পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, জন্মের পর কখনও মাতৃদুগ্ধ চেখে দেখেনি রামান্না। প্রথমবার যা মুখে তুলেছিল তা হল গরুর দুধ ও পার্লে জি বিস্কুট। ওই যে মুখে তোলা, ব্যস এই ব্র্যান্ডের বিস্কুট যেন মুখে এঁটুলির মতো সেঁটে গিয়েছে তাঁর। এর সামনে দুনিয়ার সমস্ত ভুরিভোজ রামান্নার কাছে ফেল করে গিয়েছে। আর কোনও স্বাদই পছন্দ নয় তাঁর। [দেড় বছরের শিশুর ওজন ২২ কেজি!]
রামান্নার বাবা-মা গ্রামে চাষের কাজ করেন। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রামান্নার জন্য ৬-৭ প্যাকেট বিস্কুট লাগে। তাঁর কি রোগ হয়েছে তা জানতে যে চিকিৎসা করতে হবে তার খরচ বহনের ক্ষমতা নেই তাঁদের। [বিশ্বের সবচেয়ে 'বেশি ওজনের শিশু' জন্ম নিল কর্ণাটকে]
এদিকে রামান্নার নিজের বক্তব্য, অন্য কোনও কিছু খেতে আমার ইচ্ছা করে না। প্রত্য়েকবার ৪-৫টা করে বিস্কুট খেলেই আমার পেট ভরে যায়। আমার কাছে পার্লে-জি বিস্কুটই সব। জানিনা কোনওদিন কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেল কী করব।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রামান্নার এমনিতে কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। তবে অন্য বিস্কুট দেওয়া হলে সে সটান না বলে দিয়েছে। তাঁকে পার্লে-জি বিস্কুটই দিতে হবে। শুধুমাত্র তাঁকে নিজের বয়সী অন্য মেয়েদের চেয়ে বয়সে অনেকটা ছোট মনে হয়। এর বাইরে আর কোনও শারীরিক জটিলতা নেই।
অন্যদিকে রামান্নার বাবা-মা মেয়ের ভবিষ্যত ও বিয়ের কথা ভেবে দিশেহারা। এমন চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কীভাবে মেয়ের বিয়ে দেবেন তা ভেবে উঠতে পারেন না তাঁরা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে রামান্নাকে কাউন্সেলিং করাতে হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তাঁরা। একটু চেষ্টা করলেই রামান্না এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে।