এক স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াতেই সামনে এল কিডনি পাচার চক্রের হদিশ!
নয়াদিল্লি, ৮ জুন : অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল আন্তঃরাজ্য কিডনি পাচার চক্রের মূল পাণ্ডা দিল্লির টি রাজকুমার রাও। তবে দিল্লি তো হিমশৈলীর চূড়া মাত্র, এই চক্র শুধু দিল্লিতেই আবদ্ধ নয়। নাগপুর, জলন্ধর, কানপুর, কোথায় নেই তার এই চক্রের জাল? দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গে জাল বিছানোর কাজ শুরু করেছিল রাজকুমার। তবে কাজ শেষ হওয়ার আগেই কলকাতার রাজারহাট থেকেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ল সে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শিলিগুড়ির এক মহিলা-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত এজেন্ট এবং ডাক্তারদের তল্লাসি চালানো হচ্ছে।
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াতেই পাচার চক্রের হদিশ
যেভাবে পুরো পাচার চক্র ঘটনাটির হদিশ মিলল তা উল্লেখযোগ্য। এই চক্রের এজেন্ট বা দালাল দেবাশিসের স্ত্রী নিজের পাওনা নিয়ে ঝগড়া শুরু করলেই হয় বিপত্তি। দেবাশিস তার স্ত্রী মৌমিতাকে জম্মু ও কাশ্মীরের এক রোগীকে তার কিডনি দান করার জন্য বলে।
কিন্তু এর জন্য যত টাকা দেওয়া হবে বলে কথা দেওয়া হয়েছিল, সেই টাকা তাকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলে মৌমিতা। পুরো লেনদেনটাই এক্ষেত্রে অনৈতিক ছিল। বারবার দেবাশিসকে তার পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য বলা হলেও দেবাশিস তা দেয়নি। আর তাতেই বিরক্ত হয়ে পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর ডায়াল করে মৌমিতা। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে জাল
পুলিশের অনুমান এই দল বিচ্ছিন্ন পদ্ধতিতে নিজেদের কার্যকলাপ পরিচালনা করে না। বিভিন্ন শহরে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। যখন পুলিশ এই চক্রের এজেন্টদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে তখন এই এজেন্টরা ৫ জন কিডনি দাতা এবং ৫ কিডনি গ্রহীতাকে খুঁজছে।
এছাড়াও পুলিশে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ডাক্তারদেরও তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশসূত্রের খবর, এই এজেন্টরা অভিযুক্ত ডাক্তারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে। পয়সার জন্য এই ডাক্তাররা বিত্তশালী রোগীকে অনৈতিকভাবে কিডনি দিতে সাহায্য করে।