৮৬% 'প্রাণঘাতী' মশার জন্ম হয় গৃহস্থের জমা জলে, বলছে সরকারি সমীক্ষা
নয়াদিল্লি, ৩ সেপ্টেম্বর : দেশে একের পর এক ডেঙ্গু, চিকেনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার ঘটনা শোনা যাচ্ছে। আর তার জেরে বাড়ছে উদ্বেগ আশঙ্কাও। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বংশবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হচ্ছে গৃহস্থ ঘর থেকেই। অন্তত সাম্প্রতিক সমীক্ষা এমনটাই বলছে। [(ছবি) এই ঘরোয়া টোটকাগুলির সাহায্যেই করুন ডেঙ্গুর মোকাবিলা!]
সম্প্রতি একটি সরকারি মূল্যায়ণ দেখা গিয়েছে এডিস মশার ৮৬% বংশবৃদ্ধি হয়ে গৃহস্থের জমা জল থেকে। অর্থাৎ জলের ট্যাঙ্ক, প্লাস্টিকের ড্রামে ধরে রাৎা জল, কুলার, ফুলের টব, লোহার পরিত্যক্ত পাত্র এমনকী নির্মীয়মাণ বহুতলেও এখানো ওখানে জমে থাকা জলেই বাড়ছে এডিস মশা।
সরকারের একটি রিভিউ রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ধরণের মশা বাহিত রোগের মোকাবিলা করতে হলে পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সম্যক সচতেনা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন। [ (ছবি) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায়]
সরকারি রেকর্ড বলছে চলতি বছরে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১২,২৫৫টি চিকেনগুনিয়া এবং ২৭,৮৭৯টি ডেঙ্গুর ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ গিয়েছে ৬০ জনের। আগামী ২ মাসে এই সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সরকারি মূল্যায়ণ অনুযায়ী, ৪১% মশার প্রজনন গৃহস্থ বা দোকানেক প্লাস্টিকের ড্রাম এবং পাত্রের জমা জলে হয়। ১২% কুলারের কারণে এবং ১৭% নির্মাণক্ষেত্রে ব্যবহৃত লোহার পাত্র থেকে হয়। [(ছবি) ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে যে তথ্যগুলি আপনার জানা প্রয়োজন]
কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে এই বিষয়ে আগাম সতর্কতা জানানো হয়েছে এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে পুরসভাগুলি বেশি করে মশা মারার ওষুধ ছড়ায়। পাশাপাশি গৃহস্থগুলিকেও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।