হরিয়ানায় ৭০ বছরের বৃদ্ধা জন্ম দিলেন প্রথম সন্তানের, স্বামীর বয়স ৭৯
চণ্ডীগড়, ১১ মে : ৪৬ বছর আগে বিবাহ হয়েছিল দলজিন্দর কউর ও মোহিন্দর সিং গিলের। তারপর বারবার চেষ্টা করেও সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি এই দম্পতি। ৭০ বছরের দলজিন্দর গৃহিনী। আর ৭৯ বছরের মোহিন্দরের অমৃতসরের বাইরে নিজের ফার্ম রয়েছে। [হায়দ্রাবাদে স্কুলের বাথরুমে সন্তান প্রসব ১৩ বছরের কিশোরীর]
সচ্ছ্বলতা পরিবারে প্রথম থেকেই ছিল। তবে ছিল না সন্তানের মুখ দেখার সুখ। এত বছর ধরে নাগাড়ে নানা চেষ্টা, চিকিৎসা করে গিয়েছেন এই দম্পতি। কিন্তু কিছুতেই কোনও ফল মেলেনি। বয়স যত বাড়তে থাকে, ততই সন্তানের মুখ দেখার চাহিদা আরও তীব্র হয় দুজনের। [এই বিশালদেহী সদ্যজাতরা জন্মেই রেকর্ড গড়েছে]
দুজনেই চেয়েছিলেন, যে করেই হোক নিজেদের সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করতে। তবে এইসব করতে গিয়ে প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনদের গঞ্জনাও শুনতে হয়েছে। কিন্তু তাতে দমে যাননি দুজনে। নানা জায়গায় খবর নিতে গিয়েই শোনেন আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা। [৪ বছরের শিশুর পেটে শিশু, চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরে]
ব্যস আর দেরি না করে দলজিন্দর ও মোহিন্দর ছুটে যান হরিয়ানার এক ক্লিনিকে। প্রথমে দলজিন্দরের বয়স দেখে চিকিৎসকেরা রাজি হননি। তবে নাছোড় দম্পতিকে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা করতে তাঁরা বাধ্য হন। এবং দুজনের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আইভিএফ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। [খেলতে খেলতে সন্তান প্রসব চিনের কিশোরী ভলিবল খেলোয়াড়ের]
গত এপ্রিলের ১৯ তারিখ ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন দলজিন্দর। সন্তান সুস্থ রয়েছে এবং ওজন হয়েছে ২ কিলোর সামান্য বেশি। আর পুত্রের জন্মের পর আনন্দে দিশেহারা মোহিন্দর বলছেন, এতদিনে আমাদের স্বপ্ন পূর্ণ হল। আমরা জানতাম, ঈশ্বর আমাদের দিকে মুখ তুলে দেখবেন। সেটাই হল।
এই ঘটনার পরেও অবশ্য নানা কথা শুনতে হচ্ছে এই বৃদ্ধ দম্পতিকে। বয়স ক্রমেই বাড়ছে। এখন সন্তানের জন্ম দিলে দুজনের মৃত্যুর পরে কে দেখবে? অনেকেই এই প্রশ্ন করেছেন দুজনকে। তবে এসবে মন খারাপ করার লোক নন মোহিন্দর ও তাঁর স্ত্রী। তাঁরা বলছেন, ঈশ্বরের উপরে তাঁদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনিই সবার রক্ষা করবেন।