অন্যের কালো টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে রাখলে হতে পারে ৭ বছরের জেল : আয়কর বিভাগ
আয়কর বিভাগের তরফে সারা দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সন্দেহজনক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টে ৮ নভেম্বরের পরে প্রচুর পরিমাণে পুরনো ৫০০ ও ১ হাজার টাকা জমা করা হয়েছে।
নয়াদিল্লি, ২০ নভেম্বর : নিজেদের হিসাব বহির্ভূত টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যাঙ্কে জমা রাখলে এবার অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে আয়কর বিভাগ। বেনামি লেনদেন রোধ আইন অনুযায়ী এই কাজ করলে জরিমানা সহ সর্বাধিক ৭ বছরের জেল হবে বলে জানানো হয়েছে। [গুজরাতে নতুন ২ হাজার টাকার নোট দিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ঘুষ!]
সূত্রের খবর, এই কয়েকদিনে অন্তত ২০০ কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত লেনদেনের খবর এসেছে আয়কর বিভাগের কাছে। সারা দেশে ব্যাঙ্কগুলিতে যে লেনদেন চলছে, সেই সূত্রেই গোটা হিসাব এসেছে আয়করের কাছে। এমনকী ৮ নভেম্বরের পরে সারা দেশ মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকার পুরনো নোট বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। [এই ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে বেরবে ২০ ও ৫০ টাকার নোট]
কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, আয়কর বিভাগের তরফে সারা দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সন্দেহজনক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টে ৮ নভেম্বরের পরে প্রচুর পরিমাণে পুরনো ৫০০ ও ১ হাজার টাকা জমা করা হয়েছে। [#Note বাতিলের সিদ্ধান্তের পর একটাও চুরি হয়নি দেশের এই রাজ্যে]
সেই হিসাবেই ১৯৮৮ সালের বেনামি সম্পত্তি লেনদেন বিরোধী আইন মেনে সাজা ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে স্থাবর ও অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তিই আতস কাঁচের তলায় ফেলে পর্যবেক্ষণ করবে কেন্দ্র। ['Micro ATM' এর মাধ্যমে এবার নতুন টাকার যোগান দেবে কেন্দ্র?]
এই আইনানুযায়ী আয়কর বিভাগ বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে এবং অভিযুক্তকে সাজা শোনাতে পারবে এবং অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে পারবে। পিটিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে বেশকিছু এমন ঘটনা আয়কর বিভাগের হাতে জমা পড়েছে এবং চা নিয়ে ব্যবস্থা নিতে চলেছেন তাঁরা।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কালো টাকার মালিকেরা অন্যের অ্যাকাউন্টে পুরনো টাকা রেখে বদলে সামান্য কিছু দিয়ে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করছে। এই সব ধরনের লেনদেকেই বেনামি বলে ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র। ফলে যার কালো টাকা রয়েছে, এবং যিনি নিজের অ্যাকাউন্টে জমা দিচ্ছেন, দুজনকেই সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।