নেতাজি সংক্রান্ত ৬৪টি ফাইল কলকাতার 'গোপন সেলে' বন্দী!
কলকাতা, ১৭ এপ্রিল : নেহরুর নির্দেশে নেতাজি পরিবারের উপর নজরদারির তথ্য সামনে আসতেই দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। তবে এই তথ্য সমুদ্রজলের একবিন্দু মাত্র। কলকাতার 'গোপন সেলে' তালাবন্দী পড়ে রয়েছে এমন গুরুত্ব তথ্যপূর্ণ ৬৪টি ফাইল। [ নেতাজির উপর নজরদারি বিতর্কে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরি করল কেন্দ্র]
১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৬৮ সালের মধ্যে নেতাজি পরিবারের উপর নজরদারি নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট, রাজ্য সরকার গোপন রেখেছে বলে দাবি নেতাজির প্রপৌত্র অভিজিৎ রায়ের। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিজিৎ রায়ের দাবি, "গত সপ্তাহে যে দুটি ফাইলের তথ্য হইচই ফেলে দিয়েছে তা লর্ড সিনহা রোডের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ অফিসের লকারে তালাবন্দী করে রাখা আছে। ওই একই অফিসে আরও ৬২ টি নেতাজি সংক্রান্ত অন্য ফাইল রয়েছে। " [বিমান দুর্ঘটনায় নয়, ১৯৮৫ সালে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নেতাজির!]
অনূজ ধর যিনি নেতাজির উপরে 'ইন্ডিয়াস বিগেস্ট কভার আপ' শীর্ষক বই লিখেছেন এবং নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন তিনিও এই ৬৪টি ফাইলের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যে তথ্য গত সপ্তাহে ফাঁস হয়েছিল তা আসলে এই ধরণের কোনও ফাইলের পাতারই ফটোকপি। [ বিমান দুর্ঘটনার তত্ত্ব মানেনি পরিবার]
গত ৬ জানুয়ারি, ২০১৪ সালে কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইন্ডিয়াস স্মাইল কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে নেতাজি ও আইএনএ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের আবেদন জানায়। বৃহস্পতিবার তারা আর এখটি সম্পূরক হলফনামা দেয় যেখানে বলা হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে নেতাজি সংক্রান্ত ৬৪টি ফাইল রয়েছে কিন্তু তার অস্তিত্ব অস্বীকার করছে সরকার। [ নেতাজির পরিবারের উপর দু'দশক নজরদারি চালিয়েছে নেহরু সরকার!, ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট ফাঁসে চাঞ্চল্য]
সংস্থার মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সালে জানায়, নেতাজি সংক্রান্ত কোনও গোপন ফাইল তাদের কাছে নেই। যদিও এর এক মাস পরে ২৪ মার্চ নবান্ন থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরের সহকারি সচিব একটি চিঠিতে জানায়, নেতাজি বিষয়ক নথি দফতরের গোপন সেলে থাকলেও থাকতে পারে। তবে এখানে এই সংক্রান্ত কোনও ফাইল বা তথ্য নেই।"
এদিকে নেতাজি সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে রাজ্য সরকার মুখে কুলুপ আটায় ক্রমশই ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে বসু পরিবারে।