মুজফ্ফরনগরের রেল দুর্ঘটনায় সাসপেন্ড ৪ অফিসার, নেপথ্যে কী কারণ
মুজফফরনগরের ঘটনায় মোট ৪জন রেল আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিনিয়র ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের রেল দুর্ঘটনায় অন্তত ২২ জন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ। এই ঘটনার পর তদন্তে নেমে রেল ৪ অফিসারকে সাসপেন্ড করল। পুরী-হরিদ্বার উৎকল এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ঘটনাটি ঘটে নয়াদিল্লি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে।
এই দুর্ঘটনার পরই রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। দোষীদের ছাড়া হবে না, এমনটাই শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। এই ঘটনার পরে মোট ৮জন রেল আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিনিয়র ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তর রেলের চিফ ট্র্যাক ইঞ্জিনিয়ারকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। এছাড়া একজন রেল বোর্ডের সদস্য, নর্দার্ন রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার ও ডিভিশনাল রিজিওনাল ম্যানেজারকে (দিল্লি) ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা রেল আধিকারিকদের কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই ঘটেছে বলে উঠে এসেছে। এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগ নেই বলেই রেলের তরফে জানানো হয়েছে। এটিএস-এর প্রাথমিক তদন্তের পর সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
রেলের সূত্রে খবর, খাতৌলি স্টেশন কর্তৃপক্ষকে রেলের লাইনে কাজ চলার কথা জানানো হয়েছিল। ফলে লাইন ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ২০ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। যদিও খাতৌলি স্টেশন সুপার জানিয়েছেন, তিনি এমন কোনও ঘটনার কথা জানতেন না।
দুর্ঘটনার পর এফআইআরেও কর্তব্যে গাফিলতি সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। পুরী থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেনটি ছেড়েছিল। রবিবার সকালে তা হরিদ্বারে পৌঁছনোর কথা ছিল। দুর্ঘটনার সময়ে ট্রেনটি ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলির মধ্যে ৬টি একেবারে দুমড়ে গিয়েছে। রেলের তরফে মৃতদের পরিবারের জন্য সাড়ে তিন লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ও কম আহতদের জন্য ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশ সরকারও আলাদা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।