ভূমিকম্প যেকোনও মুহূর্তে তছনছ করে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গকে, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
তীব্র থেকে তীব্রতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ছে ভারতের ২৯ টি শহর। তালিকা ভূমিকম্পনপ্রবণ এলাকা হিসাবে উপরের দিকে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নামও।
তীব্র থেকে তীব্রতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ছে ভারতের ২৯ টি শহর। তালিকায় ভূমিকম্পনপ্রবণ এলাকা হিসাবে উপরের দিকে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নামও। ফলে যেকোনও সময়ে এই শহরগুলি প্রবল তীব্রতায় কেঁপে উঠতে পারে। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। উল্লেখ্য এই ২৯ টি শহরের তালিকায় রয়েছে রাজধানী দিল্লিও।
মূলত হিমালয় পর্বতমালা সংলগ্ন এলাকাই ভূমিকম্পপ্রবণ বলে প্রকাশিত হয়েছে রিপোর্টে। ফলে উত্তর ও উত্তপূর্বের বহু শহরেই ভূমিকম্পের প্রবণতা চরম। রাজধানী দিল্লি সহ, পাটনা, শ্রীনগর, কোহিমা, পুদুচেরি, গুয়াহাটি, গ্যাংটক, সিমলা,দেরাদুন, ইম্ফল ও চণ্ডীগড় এই ভূমিকম্প প্রবণ শহরের তালিকার মধ্যে পড়ছে।
ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের তরফে বিভিন্ন এলাকাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেছে। উপরের সবকটি শহরই জোন-৪ থেকে জোন-৫ এর মধ্যে অবস্থিত। প্রসঙ্গত, তীব্রতার নিরিখে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে।সেই বিভাজন জোন ২ থেকে জোন ৫ পর্যন্ত করা হয়েছে । জোন ৫ সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প-প্রবণ। জোন-৫ এর মধ্যে রাখা হয়েছে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত, জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কচ্ছ, উত্তর বিহারের একাংশ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
জোন-৪ এর মধ্যে পড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ, দিল্লি, সিকিম, উত্তরপ্রদেশের উপরীভাগ, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রের একাংশ। এছাড়াও দিল্লি, কলকাতা সহ দেশের বড় বড় শহরগুলিকে নিয়ে আলাদাভাবে মাইক্রোজোনেশন তালিকা তৈরি করেছে এনসিএস। ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রাজীবন জানান, বর্তমানে দেশে ৮৪টি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে আরও ৩১টি কেন্দ্র নতুন গড়া হবে।