বুরহান ওয়ানির মৃত্যুতে জ্বলছে কাশ্মীর, মৃত ২১, আহত ৩০০, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের শান্তি ফেরাতে আর্জি
জম্মু, ১১ জুলাই : শুক্রবার হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার আবদুল বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই কার্যত জ্বলছে গোটা কাশ্মীর উপত্যকা। এই জঙ্গির মৃত্যুর পরই পথে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। সেই হিংস্রতা থামাতে গিয়ে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ২১ জনের। [কাশ্মীরে নিহত হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির জঙ্গি হয়ে ওঠার কাহিনি]
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোটা কাশ্মীর কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। অমরনাথ যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে। ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। কড়া প্রশাসনিক নজরদারিতে রয়েছে গোটা এলাকা। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামছে না।
উপত্যকায় বিক্ষোভে কমপক্ষে ৩০০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৯০ জন পুলিশকর্মী রয়েছেন। এছাড়া এক পুলিশ কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। তাঁর গাড়ি বিক্ষুব্ধরা অনন্তনাগের কাছে ঝিলম নদীতে ফেলে দিয়েছে।
অমরনাথ যাত্রায় যাচ্ছিলেন অন্তত ১৫ হাজার তীর্থযাত্রী। এই নিয়ে তিনদিন হয়ে গেলেও যাত্রা স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। ফের কবে যাত্রা শুরু করা যাবে তা কেউ বলতে পারছেন না।
জানা গিয়েছে, রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক করেছেন। বিরোধী পক্ষ থেকে শুরু করে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, যেকরেই হোক উপত্যকায় শান্তি ফেরানোর জন্য। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সঈদ আলি শাহ গিলানি পর্যন্ত আমজনতাকে শান্ত হতে অনুরোধ করেছেন।
বুরহান ওয়ানি গত শুক্রবার পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায়। তার সঙ্গে আরও দুই জঙ্গিও মারা গিয়েছে। শনিবার তার শেষযাত্রাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল এলাকায় অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে।