(ছবি) বন্যায় মৃত ১৮০, লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া : সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলা!
নয়াদিল্লি, ৪ আগস্ট : ভারি বর্ষার জেরে বন্যা পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮০ জনের। দেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বর্ষায়। পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, গুরজরাত, মণিপুর এবং ওড়িশা জলমগ্ন হয়ে বিপর্যস্ত জলজীবন। [ (ছবি) বন্যায় প্রায় পঙ্গু বাংলা, নবান্ন থেকে রাতভর নজরদারি চালালেন মমতা!]
সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, জুন মাস থেকে এখনও পর্যন্ত গুজরাতে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ চলছে।
এখনও পর্যন্ত ১০ টি অগ্রগতি ছবিতে দেখে নিন
বাংলায় মৃত্যুমিছিল
মণিপুর, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে মৃতের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে বেশি। এখানে মাত্র কয়েক দিনে বৃষ্টির জেরে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ বজ্রাঘাত, ভারি বৃষ্টিতে দেওয়াল ভেঙে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, জলে ডুবে, সাঁপের কামড়ে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লক্ষ
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৫০ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ২,২১৩টি ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে এছাড়া ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের জন্য ২৩৪টি নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে।
গুজরাতের পরিস্থিতি
গুজরাতে গত ৬ দিনে কোনও বৃষ্টি হয়নি। জমা জলও অনেকটা নেমেছে। বন্যা সম্পর্কিত ঘটনায় রাজ্যের ১৪টি জেলার ৭১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
শস্যের ক্ষতি
গুজরাতে ৪০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উত্তর গুজরাতে ব্যাপক পরিমাণে শস্য ও গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর মিলেছে। ১০ লক্ষ প্যাকেটেরও বেশি খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। বনসকন্ঠ, সবরকন্ঠ এবং কচ্ছ জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজস্থান
রাজস্থানেও গত ৬ দিনে বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় বন্যার কারনে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উদ্ধার বহু
রাজস্থানের বিভিন্ন জেলা থেকে ৬৩০ জনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। ঝালোর, ,সিরোহী, বারমের এবং পালি জেলা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।
ওড়িশার ভয়াবহ পরিস্থিতি
ওড়িশায় বন্যার জেরে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার জেরে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৫০০-র বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৭টি ত্রাণ শিবির তৈরি হয়েছে। ১৩২ টি নৌকাকে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে কেন্দ্রের সম্পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে বলে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই আশ্বস্ত করেছেন রাজনাথ সিং।
মণিপুরে মৃত্যু
মণিপুরে গত ৩ দিনে বৃষ্টি হয়নি। ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জওমোল গ্রামে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বন্যা ও ধসে এই গ্রামটি প্রায় ভেসে গিয়েছে।
ঘরছাড়া ৪০ লক্ষ
মণিপুরে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। আপাতত রাস্তার ধারের শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, গ্রাম ও শহরের সংযোগকারী সেতুগুলি ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।