৯ বছরের ছেলের দেহ ৬ টুকরো করে, রক্ত-মাংস খেল ১৬ বছরের কিশোর!
নৃশংস হত্যার ঘটনায় লুধিয়ানাক ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ৯ বছরের এক বালককে খুন করে প্রথমে তার দেহকে ৬ টুকরো করে সে। তারপর শরীর থেকে মাংস খুঁটে খায়, রক্ত পান করে ওই কিশোর।
লুধিয়ানা, ২১ জানুয়ারি : নৃশংস হত্যার ঘটনায় লুধিয়ানাক ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ৯ বছরের এক বালককে খুন করে প্রথমে তার দেহকে ৬ টুকরো করে সে। তারপর শরীর থেকে মাংস খুঁটে খায়, রক্ত পান করে ওই কিশোর। পুলিশ জানিয়েছে সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিল দীপু কুমার নামে ওই বালক। পরে দুগরি এলাকা থেকে তাঁর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, দীপু ও তার হত্যাকারী কিশোর দুজনেই শ্রমিক, একই এলাকায় একই রাস্তায় থাকত দুজনে। দীপুকে খুন করার পর অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্র বাড়িতে ফিরেও স্বাভাবিক আচরণ করছিল, ফলে সন্দেহের কোনও অবকাশই ছিল না। মা বাড়িতে ছিল না বলে বাবার জন্য রান্নাও করেছিল সে।
কিন্তু এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশ জানতে পারে দীপু ওই কিশোরের সঙ্গে ছিল। অভিযুক্ত কিশোরকে পুলিশ আটক করে। পুলিশের জেরার মুখে পরে সে খুনের কথা এমনকী দীপুর শরীরের মাংস খাওয়া ও রক্ত পান করার কথা স্বীকার করে সে।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ভুপিন্দর সিং জানিয়েছেন, "এই ঘটনাটি নরমাংসখাদকের। নরমাংস খাওয়ার আকাঙ্খায় দীপুকে শিকার বানায় সে। জেরায় সে বলেছে, মাঝে মাঝে তার কাঁচা মুরগীর মাংস খাওয়ার তাড়না শুরু হয়। কিছু কিছু সময় নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খাওয়ার তাড়নাও হয়।" পুলিশের তরফে কিশোরকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কিশোর পুলিশকে জানায়, সোমবার দুপুর ১ টা ৪০ নাগাদ ঘুড়ির মাঞ্জা দেওযার নাম করে দীপুকে বাড়ি নিয়ে যায় সে। তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। প্রথমে দীপুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। তারপর দীপুর জামাকাপড় খুলিয়ে বাথরুমে ধারালো মাটি কোপানোর অস্ত্র দিয়ে দীপুর মৃতদেহর টুকরো করে। এরপর শরীরের টুকরো প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে নিজের সাইকেলে করে নিয়ে গিয়ে নির্জন স্থানে ফেলে দিয়ে আসে। দীপুর মাথা স্কুল ক্যাম্পাসে ফেলে।