পাকিস্তান হাই কমিশনে মোট কতজন চরবৃত্তির কাজে যুক্ত, জানাল গ্রেফতার চর
মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ ও গোয়েন্দাদের তরফে এই তথ্য সামনে আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, মোট ১৬ জন পাক হাই কমিশন সদস্য সীমান্তের কার্যকলাপ, ভারতীয় সেনা সহ প্রতিরক্ষার নানা তথ্য ও নথি চরবৃত্তি করে জোগাড় করে।
নয়াদিল্লি, ২ নভেম্বর : ভারতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার পাকিস্তানি দূতাবাসের কর্মী মেহমুদ আখতারকে জেরা করে একেরপর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন গোয়েন্দারা। কিছুদিন আগেই নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশন থেকে আখতারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই জানিয়েছে, পাক হাই কমিশনে মোট ১৬ জন ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে যুক্ত রয়েছে। [কীভাবে গোপনে প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য পাচার করত পাক চরেরা, সূত্র পেলেন গোয়েন্দারা]
মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ ও গোয়েন্দাদের তরফে এই তথ্য সামনে আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, মোট ১৬ জন পাক হাই কমিশন সদস্য সীমান্তের কার্যকলাপ, ভারতীয় সেনা সহ প্রতিরক্ষার নানা তথ্য ও নথি চরবৃত্তি করে জোগাড় করে। [মাত্র ৫০ হাজার টাকার মাসোহারার বিনিময়ে ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন নথি বিকিয়ে যাচ্ছিল!]
এই তথ্য জানার পর থেকেই ভারতীয় গোয়েন্দারা ও দিল্লি পুলিশ তা যাচাই করতে নেমে পড়েছে। যদি এই বয়ানে সত্যসত্য থাকে তাহলে আগামিদিনে বিদেশমন্ত্রককে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কথা বলা হবে। [পাকিস্তানি চর মেহমুদ আখতার সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জেনে নিন একনজরে]
এর পাশাপাশি রাজস্থানের বেশ কয়েকটি সীমান্তবর্তী গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের জেরা করছে পুলিশ। কারা পাকিস্তানি চরদের তথ্য সরবরাহ করেছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। [উরি হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানে 'খুল্লামখুল্লা' প্রচার লস্কর-ই-তৈবার!]
ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি চরদের সাহায্য করার অভিযোগে মৌলানা রমজান, সুভাষ জাঙ্গীর, শোয়েব ও আখতার নামে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি আধাসেনার কিছু আধিকারিকও এতে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এছাড়া কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারও এই চর চক্রের অংশ হতে পারেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ অক্টোবর রমজান ও জাঙ্গীরের থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন নথি ও তথ্য নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা হয় পাকিস্তানি হাই কমিশনে কর্তব্যরত মেহমুদ আখতারকে। তারপরই চরবৃত্তি নিয়ে একে একে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।