কাশ্মীরে রাষ্ট্রবিরোধিতায় মদতের অভিযোগে ১২জন সরকারি আধিকারিক বরখাস্ত
সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা বিক্ষোভ ছড়ানোর অভিযোগে মোট ১৮২ জনকে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে কিছু সিনিয়র আধিকারিকও রয়েছেন। যারা হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে মিলে উপত্যকায় ভারত বিরোধিতায় মদত দিয়েছেন।
শ্রীনগর, ২১ অক্টোবর : জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে মদতের অভিযোগে ১২জন সরকারি আধিকারিককে বরখাস্ত করল পিডিপি-বিজেপি শাসিত মেহবুবা মুফতির সরকার। অভিযোগ এই আধিকারিকেরা হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে চলা অশান্তি ও ভারত বিরোধিতায় মদত দিয়েছেন। [কাশ্মীরে গোলমাল বাঁধানোর পিছনে শুধু পাকিস্তান নয়, রয়েছে অন্য একটি দেশও]
আরও অভিযোগ, গত কয়েকমাসে উপত্যকায় পুলিশ ও সেনার উপরে পাথর হামলার যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, সেগুলিতেও অংশ নিয়েছেন এই সরকারি কর্মীরা। [কীভাবে কাঁটাতারের সীমান্ত টপকে এদেশে ঢোকে উরি হামলার জঙ্গিরা]
জানা গিয়েছে, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা বিক্ষোভ ছড়ানোর অভিযোগে মোট ১৮২ জনকে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে কিছু সিনিয়র আধিকারিকও রয়েছেন। যারা হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে মিলে উপত্যকায় ভারত বিরোধিতায় মদত দিয়েছেন। [সীমান্তে হামলার অপেক্ষায় কাশ্মীর উপত্যকায় লুকিয়ে ২৫০ পাক জঙ্গি!]
তবে সূত্রের খবর, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি মেহবুবা মুফতির সরকার। অনেক বিপথগামী আধিকারিকদের শেষবারের মতো হুঁশিয়ার করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে যে ১২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের ছাঁটাইয়ের চিঠি ইস্যু করা হয়ে গিয়েছে। ভারতের ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার অপরাধে এতজন সরকারি আধিকারিকে ছাঁটাই বলেই জানানো হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে উঠে এসেছে, উপত্যকার বহু ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসক বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বিক্ষোভকারীদের মদত দিয়ে চলেছেন। যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তারা কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা, খাদ্য, কৃষি, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, গ্রামীণ উন্নয়ন, মৎস্য, বন, স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এটাই প্রথম নয়, এর আগে ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ১৯৯৫ সালেও ভারত বিরোধী কার্যকলাপের জন্য কাশ্মীরে সরকারি কর্মচারীদের কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।