এই কারণে ব্যাঙ্ক বা এটিএমে শুধুই ২ হাজারের নোট, আকাল ৫০০ টাকার নোটের
নোট বাতিল নিয়ে কেন্দ্র সঠিকভাবে প্রস্তুত ছিল না। কত নগদ প্রয়োজন হতে পারে তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকা ও পরিস্থিতি বুঝতে ভুলচুক হওয়ার ফলেই সারা দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
নয়াদিল্লি, ২৬ নভেম্বর : নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে এমনিতেই সারা দেশে হইচই পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই নতুন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, কেন ব্যাঙ্কে বা এটিএমে গেলেই ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গোলাপি রঙের নতুন ২ হাজার টাকার নোট। কেন বাজারে এখনও আকাল ডলার সদৃশ ৫০০ টাকার নতুন নোটের?
স্বেচ্ছ্বায় ব্যাঙ্কে এসে জমা করলেই 'কালো' টাকা হয়ে যাবে 'সাদা'!
সফল হোক না ব্যর্থ, #Demonetisation দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, মত চায়না গ্লোবাল টাইমসের
উত্তরটা খুব সোজা। আরবিআইয়ের সূত্র বলছে, ২ হাজার টাকার নোট ছাপা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরিচালিত কর্ণাটকের মাইসোরের ছাপাখানায়। আর ৫০০ টাকার নতুন নোট ছাপা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব প্রেসে। যেগুলি রয়েছে মহারাষ্ট্রের নাসিক ও মধ্যপ্রদেশের দেবাসে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের শালবনিতে আরবিআইয়ের ছাপাখানায় ১০০ টাকার নোট ছাপা হয়।
আরবিআইয়ের আর সতর্ক হওয়া উচিত ছিল, নোট বাতিলের মতো বড় সিদ্ধান্তের পর আরবিআই সঠিক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ, এসব বলে অনেকে সমালোচনা করেছেন। তবে ভারতের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের বক্তব্য, ৫০০ টাকার নোটের যোগানের উপরে আরবিআইয়ের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
ফলে যেখানে সমস্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নিচ্ছে তখন কেন শুধু শুধু আরবিআইকে এই ব্যাপারে দোষারোপ করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আরবিআই কর্তারা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কথা মেনেই পুরো কাজ করা হয়েছে।
এক আরবিআই কর্তার অভিযোগ, নোট বাতিল নিয়ে কেন্দ্র সঠিকভাবে প্রস্তুত ছিল না। কত নগদ প্রয়োজন হতে পারে তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকা ও পরিস্থিতি বুঝতে ভুলচুক হওয়ার ফলেই সারা দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের ৫০০ ও ১ হাজারে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার অনেক আগে থেকে ২ হাজার টাকার নোট ছাপতে শুরু করে আরবিআই। এমনকী নোট বাতিলের আগে ৯০২৬ কোটি পিস নোট বাজারে ঘুরছিল বলে জানা গিয়েছে। যা দেখে কংগ্রেসের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম অভিযোগ করেছেন যে গোটা ঘটনা মিটতে অন্তত ৭ মাস সময় লাগবে।
সরকারি ছাপাখানাগুলিতে মাসে ৩০০ কোটি নোট ছাপা যায়। অথচ প্রয়োজন প্রায় ২১০০ কোটি নোটের। সেজন্যই সম্ভবত পরিস্থিতি ঠিক হতে চিদাম্বরম সাত মাসের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পুরনো ৫০০ টাকার নোট এখনও ব্যবহার করতে পারবেন এই জায়গাগুলিতে
#NoteBan নিয়ে মানুষের রায় কি? জেনে নিন Oneindia সমীক্ষা কি বলছে
এছাড়াও যে সমস্যাগুলি হয়েছে তা হল নোট ছাপানোর পাশাপাশি নোট এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় পৌঁছনো, তারপর তা ব্যাঙ্কে অথবা এটিএমে যোগান দেওয়া। এসবের জন্য প্রচুর লোক ও নিরাপত্তা চাই। সেসবের ঘাটতি হলে সবমিলিয়ে মানুষের হাতে টাকা পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।