কেন পন্নিরসেলবম 'ইলেকট্রিক পোল' ও শশীকলা 'টুপি' বাছলেন রাজনৈতিক প্রতীক হিসাবে?
শশীকলা ও পন্নিরসেলবম দুই গোষ্ঠীর প্রতীক বেছে নেওয়ার মধ্যেও সুক্ষ্ম রাজনৈতিক বোধ কাজ করেছে। দলের প্রতীক বাছার মধ্যে দিয়ে মানুষের মনে ধাক্কা দিতে চেয়েছে দুটি দলই।
চেন্নাই, ২৩ মার্চ : তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পন্নিরসেলবম ও জেলবন্দি শশীকলা নটরাজনের গোষ্ঠী আলাদা দলীয় নাম ও প্রতীক চিহ্নে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছে আরকে নগর উপ নির্বাচনে।[AIADMK নিয়ে শশীকলা vs পন্নিরসেলবম লড়াই, দুই শিবির পেল ভিন্ন নাম ও প্রতীক ]
এআইএডিএমকে-র নেতৃত্বে কে থাকবেন তা নিয়ে জলঘোলার মাঝে না পড়ে নির্বাচন কমিশন দুটি গোষ্ঠীকেই আলাদা দলীয় নাম ও প্রতীক দিয়েছে। শশীকলা গোষ্ঠীর নাম হয়েছে এআইএডিএমকে আম্মা। ও পন্নিরসেলবমের গোষ্ঠীর নাম হয়েছে এআইএডিএমকে পুরাতচি থালাভাই আম্মা। এছাড়া শশীকলার দল টুপি চিহ্নে ও পন্নিরসেলবমের দল ইলেকট্রিক পোল চিহ্নে লড়াই করবে। দুই গোষ্ঠী নিজেরাই দলের নাম ও প্রতীক বেছে নিয়েছে।
তবে দুই গোষ্ঠীর প্রতীক বেছে নেওয়ার মধ্যেও সুক্ষ্ম রাজনৈতিক বোধ কাজ করেছে। দলের প্রতীক বাছার মধ্যে দিয়ে মানুষের মনে ধাক্কা দিতে চেয়েছে দুটি দলই। একইসঙ্গে জয়ললিতার আবেগকে কাজে লাগিয়ে আরকে নগর উপ নির্বাচনে বাজিমাত করতে চাইছে দুই শিবিরই।
পন্নিরের শিবিরের প্রতীক
পন্নিরসেলবম শিবিরের প্রতীক হল দুদিকে পাতার মতো বেরনো ইলেকট্রিক পোস্ট। এআইএডিএমকে-র প্রতীক যা আদতে দুদিকে পাতা, সেটির সঙ্গে এর সাযুজ্য রয়েছে। পন্নির শিবির বলছেও সেকথা। জানাচ্ছে, মূল দলের চিহ্নের সঙ্গে সাযুজ্য রয়েছে এমন প্রতীকই বাছা হয়েছে। তাতে মানুষকে বোঝাতে সুবিধা হবে যে জয়ললিতার যোগ্য উত্তরসুরী এই অংশই।
এআইএডিএমকে নেতা মধুসূদন এই প্রতীকে আরকে নগরে প্রচারেও এগিয়ে থাকবেন। প্রতিপক্ষ টি দিনাকরণের চেয়ে এখানে ই মধুসূদনের পাল্লা ভারী তা প্রায় সকলেই মেনে নিচ্ছেন। আর এই আসনে জনসমর্থনও তাঁরই দিকে রয়েছে।
শশীকলা শিবিরের প্রতীক
শশীকলা শিবিরের তরফে টুপি চিহ্ন বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রথমে তারা অটো রিকসা বেছে নিয়েছিল। পরে টুপিকেই প্রতীক চিহ্ন বেছেছে। এই সিদ্ধান্তের পিছনেও রয়েছে গভীর ভাবনা। এআইএডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা এমজি রামচন্দ্রণ ম্য়াটিনি আইডল ছিলেন। তিনি টুপি পড়তেন। সেই ভাবনা থেকেই দলের চিহ্ন টুপি রাখা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেই ম্যাজিকে কাজ হবে।
যদিও আরকে নগর উপ নির্বাচনে দিনাকরণ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন। শশীকলার বিরুদ্ধে মানুষের রায় গেলে সেক্ষেত্রে দিনাকরণের উপরে তার প্রভাব পড়বে। ফলে জয়ললিতার বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁরই উত্তরসুরী হওয়ার লড়াই যে আগামিদিনে আরও জোরদার হবে তা বলাই বাহুল্য।