ফেসবুক, টুইটারে এই জিনিসগুলি শেয়ার করলেই বিপদে পড়বেন
স্যোশাল মিডিয়ায় ভুলেও কী শেয়ার করবেন না, তা জেনে নিয়ে সতর্ক হোন।
স্যোশাল মিডিয়ার ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে বিরাজ করতে করতে আসল-নকলের পার্থক্য অনেকে ভুলতে বসেছেন। সামাজিকতা, রীতি-নীতি চুলোয় উঠিয়ে শুধু স্যোশাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকাকেই জীবন ভেবে নিচ্ছেন অনেকে। যার ফলে সামাজিক সমস্যা বাড়ছে বই কমছে না। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামকে অবসেশন বানিয়ে ফেলেছেন অনেকে। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে এতেই মগ্ন হয়ে রয়েছেন। আর তা করতে গিয়ে অনেক ভুল-ত্রুটি করে ফেলছেন নিজের অজান্তেই। স্যোশাল মিডিয়ায় ভুলেও কী শেয়ার করবেন না, তা জেনে নিয়ে সতর্ক হোন।
জন্মতারিখ শেয়ার করা
যদি ভেবে থাকেন ফেসবুকে জন্মতারিখ শেয়ার করলে বিপদে পড়বেন না তাহলে ভুল ভাবছেন। অনেকে জন্মতারিখ দিয়ে পাসওয়ার্ড দেন। তাদের ক্ষেত্রে হ্যাকাররা সহজেই অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে পারেন।
লোকেশন শেয়ার করা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়ত খুব একটা ভয়ের কিছু ঘটে না। তবে কেউ যদি আপনার ক্ষতি করতে চায় ও আপনি সেই সময়ে নিজের লোকেশন শেয়ার করে জানিয়ে রাখেন আপনি কোথায় রয়েছেন তাহলে বিপদের শেষ থাকবে না। ফলে সতর্ক হোন।
আপনার ঠিকানা
নিজের ঠিকানার মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কেন ফেসবুক অথবা স্যোশাল সাইটের মতো জায়গায় দিয়ে রাখবেন আপনি। সেই দেখে যেকোনও বিপদ আপনার দোরগোড়ায় আসতেই পারে। আপনি হয়ত আগে থেকে তা বুঝতেই পারবেন না।
ফোন নম্বর
ফেসবুকের মতো অনেক স্যোশাল সাইট ফোন নম্বর দেওয়ার কথা বললেও তা দেবেন না। যদি একান্তই দিতে চান তাহলে অন্তত প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে 'ওনলি মি' সিলেক্ট করে রাখুন। এর ফলে কেউ তা দেখতে পাবেন না। তবে নিজের নম্বর গোপন রাখতে চাইলে সেখানে দেওয়ার তাহলে কোনও প্রয়োজনই থাকবে না।
ছুটির ঘোষণা
ফেসবুকে আপনি যদি কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন তা ঘোষণা করে দিয়ে যান তাহলে বাড়িতে কারও না থাকার সুযোগে চুরি-ডাকাতি হতে পারে। তাই আগ বাড়িয়ে নিজের ঘুরতে যাওয়ার খবর স্যোশাল সাইটে দিয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না।
চাকরি নিয়ে অত্যধিক তথ্য শেয়ার
এটা বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই যে ফেসবুক অথবা টুইটারে নিজের সম্পর্কে অত্যধিক তথ্য শেয়ার করা মানে বিপদ ডেকে আনা। তাই সেই পথে কখনও পা বাড়াবেন না।