এই শহরের এক কিশোরের কথা জানলে আপনি গর্ব বোধ করবেন
প্রহরীর ছেলে ফেরত দিল প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের হিরে। ঘটনাটি ঘটেছে সুরাটের ডায়মন্ড স্ট্রিটের মাহিধাপুরায়। রাস্তায় ক্রিকেট খেলার সময় হিরের প্যাকেটের খোঁজ পায় একাদশ শ্রেণির ছাত্র বিশাল
প্রহরীর ছেলে ফেরত দিল প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের হিরে। ঘটনাটি ঘটেছে সুরাটের ডায়মন্ড স্ট্রিটের মাহিধাপুরায়। রাস্তায় ক্রিকেট খেলার সময় হিরের প্যাকেটের খোঁজ পায় একাদশ শ্রেণির ছাত্র বিশাল।
প্রকৃত মালিকের হাতে হিরের প্যাকেট তুলে দেওয়ায় পুরস্কারও পায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্র।
সুরাটের মাহিধাপুরার জাদাখাডির বাসিন্দা বছর পনেরোর বিশাল উপাধ্য়ায়ের হাতে পুরস্কার হিসেবে ৩০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া হিরের ব্যবসায়ী মনসুখ সাভালিয়া। সুরাট ডায়মন্ড অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দেওয়া হয়েছে আরও ১১ হাজার টাকা।
হারিয়ে যাওয়া হিরের প্যাকেট ফেরত পেয়ে খুশি ওই ব্যবসায়ী। হারিয়ে যাওয়া হিরে তাঁর হাতে তুলে দিয়ে, বিশাল তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে বাঁচিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন হিরের ব্যবসায়ী মনসুখ সাভালিয়া। হিরে খুঁজে না পেলে, নিজের বাড়ি বিক্রি করতে হত বলে জানিয়েছেন তিনি।
সুরাটের ডায়মন্ড স্ট্রিটে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বিশাল হিরের প্যাকেট পেয়েছিল। রাস্তার ধারের বন্ধু ছোঁড়া বল ধাওয়া করতে যায় বিশাল। রাস্তার ধারে পার্কিং এরিয়ায় বল খুঁজতে গিয়ে স্কুটারের নিচে হিরের প্যাকেটের হদিশ পায় বিশাল।
বাড়িতে ফিরে বাবা-মাকে না জানিয়েই প্যাকেটটি রেখে দেয় বিশাল। সঠিক ব্যক্তিকে খুঁজে তাঁর হাতেই প্যাকেটটি তুলে দিতে চেয়েছিল বিশাল। তৃতীয় দিনের মাথায় প্যাকেট খুঁজতে যাওয়া ব্যক্তির খোঁজ পায় বিশাল। হিরে হারানোর কথোপকথন শুনে, তাঁদেরকে বিষয়টি খুলে বলে।
এই প্রসঙ্গে মায়ের দেওয়া ৫০ টাকা হারিয়ে যাওয়ার কথা স্মরণ করে বিশাল। যে দিন ওই টাকা হারিয়েছিল, সেই দিন তার খাওয়া হয়নি। সেই ঘটনা তাকে খুব কষ্ট দিয়েছিল বলে জানিয়েছে বিশাল।
বিশালের পরিবারের ৫ সদস্য। থাকে টিনের ছাউনির ঘরে। বাবা প্রহরীর কাজ করে মাসে রোজগার করেন ৮ হাজার টাকা । মা কাপড় সেলাই করেন। আর দাদা চাকরি করে অ্যাকাউন্টস অফিসে।
পুরস্কারের টাকা সে কী করবে, এই প্রশ্নের উত্তরে বিশাল জানায়, পড়াশোনার পিছনে ওই টাকা খরচ করবে সে। ভবিষ্যতে বাবা-মাকে নিয়ে একটু ভাল ভাবে থাকতে চায় বিশাল।