আধার সংক্রান্ত প্রাথমিক কয়েকটি ধারণা
বহু মানুষ প্রায়ই আধার কার্ড সংক্রান্ত বিষয়ের নিয়ম নীতি নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে যান। তাই আধার কার্ড সংক্রান্ত প্রাথমিক কিছু নীতি নিয়ম বিষয়ক তথ্য জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
আধার কার্ড নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে নানা রকমের খবর উঠে আসছে। বহু মানুষ প্রায়ই আধার কার্ড সংক্রান্ত বিষয়ের নিয়ম নীতি নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে যান। তাই আধার কার্ড সংক্রান্ত প্রাথমিক কিছু নীতি নিয়ম বিষয়ক তথ্য জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
আমাদের কাছে আধারকার্ড সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য এখনও অজানা, যা জেনে নেওয়াটা অত্য়ন্ত প্রয়োজনীয়। যেমন, UIDAI বা ইউনিক আইডেন্টিফেকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া হল এমন একটি অভিন্ন পরিচিত যা শুধুমাত্র ভারতীয়দের কাছেই থাকবে। যার অনলাইনের মাধ্যমে পর্যালোচনা করা সম্ভব। এরসঙ্গে আধার নির্ভর কোনও পরিষেবার সরাসরি যোগ নেই। এরকম আরও কয়েকটি বিষয় রয়েছে আধারের সঙ্গে সম্পর্কিত। আসুন একনজরে তা দেখে নেওয়া যাক।
উল্লেখ্য, আধার একটি সার্ভিস ডেলিভারি নির্ভর পরিষেবার অন্তর্গত। এটিকে কার্যকরিতা বজায় রাখবার জন্য সার্ভিস ডেলিভারি প্রদেয় সংস্থাগুলিকে (যেমন -ব্যাঙ্ক, পিডিএস)একটি সুরক্ষিত ব্যবস্থাপণার মাধ্যমে কাজ করতে হয়। আধারের মাধ্যমে এমন ব্যক্তিরাও নাগরিক পরিচিতির আওতায় এসেছেন যারা শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ বা কারোর হাত নেই। আরও বিস্তারিত বললে বলা চলে, যাদের বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার অন্তর্গত রাখা যায়না, তাঁরা এই আধার নির্ভর পরিচিতির সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও ভারতের মতো দেশে যেখানে সন্তান জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই তার বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব হয়না সর্বত্র, সেখানে এই ধরনের অভিন্ন নাগরিক পরিচিতি ব্যবস্থার প্রয়োজন। ফলত এতে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি ভুয়ো পরিচিত পত্রের সমস্যা থেকে রক্ষা পয়। পাশাপাশি তাদের পরিষেবা দিতেও সুবিধা হয়।
আধারের
কয়েকটি
সুবিধা:
অনেক
সময়ই
পরিষেবা
প্রদেয়
সংস্থাগুলি
গ্রাহক
পরিচিতির
সময়,
পরিচিতি
যাচাইয়ের
ব্যার্থতার
ফলে
পরিষেবা
দিতে
পারে
না।
কিন্তু
আধারের
ক্ষেত্রে
তা
হওয়ার
সম্ভাবনা
কম
থাকে।
অনেক
ক্ষেত্রেই
বহু
বায়োমেট্রিক
যাচাই
পদ্ধতি
কার্যকর
নাও
হতে
পারে।
অন্ধ্র
প্রদেশ,
তেলাঙ্গানায়
পিডিএস
সিস্টেম
খারাপ
হওয়ার
জন্য়
বায়োমেট্রিক
পদ্ধতিতে
সমস্যা
হয়।
তবে
আধারের
অথেন্টিকেশন
প্রটোকল
থাকায়
এই
সমস্যা
এড়ানো
যায়।
এটা
বোঝা
প্রয়োজন
যে,
বায়োমেট্রিক
অথেন্টিকেশন
নির্দিষ্টভাবে
কোনও
কিছুর
সঙ্গে
অন্য
কোনও
মিলিয়ে
দেওয়ার
বিজ্ঞান
নয়।
UIDAI
নির্ভর
করে
এসটিকিউসি
প্রযুক্তির
ওপর।
যার
বাস্তবে
নিরীক্ষা
করা
হয়
মানুষের
ওপর।
এতে
৩
টিবারের
চেষ্টায়
২
টি
আঙুলের
ছাপকেই
সঠিক
বলে
বেছে
নেওয়া
হয়।
তবে
আঙুলের
ছাপের
ক্ষেত্রে
কয়েটি
বিষয়
উল্লেখ্য
।
যাচাই
পর্বে
২টির
জায়গায়
১
টি
আঙুলের
ছাপ
অনেক
বেশি
সঠিক
বলে
দাবি
করেন
বিশেষজ্ঞরা।
অনকেবার
ছাপ
দেওয়ার
চেষ্টায়
ব্যক্তির
পরিচিতির
অন্যন্যতা
নষ্ট
হয়।
ইউআইডিআইয়ের
দ্বারা
২
টি
আঙুলের
মধ্যে
উপযুক্ত
আঙুলটিকে
বেছে
নিয়ে
তার
ছাপকে
চিনে
নেওয়ার
সুকৌশল
পদ্ধতি
রয়েছে।
যার
ফলে
প্রাথমিক
লিখিত
তথ্যে
কিছু
গোলমাল
থাকলে
তা
এড়ানো
সম্ভব।
খরচের ক্ষেত্রেও তা কম করবার সুযোগ সুবিধা রয়েছে এই প্রযুক্তিগত সুবিধার দ্বারা। পাশপাশি সরকারি কাজে সুবিধার জন্য আধারকে নিযুক্ত করা হয়েছে। আধারের দ্বারা যেকোনও রকমের পাইকারি লেনদেনেও সরকার, ওই লেনদেন সম্পর্কে খবর পাবে।
বিশ্বের বহু দেশে রয়েছে এই ধরনের প্রযুক্তিগত নাগরিক পরিচিতি ব্যবস্থা। বিশ্বের কয়েকটি দেশে কেবল পরিবারের কর্তা ব্যক্তিদেরই ছবি এই পরিচিতিপত্রে থাকে। সেক্ষেত্রে পরিবারের বাকিদের পরিচিতি সম্পর্কে একটি ধোঁয়াশা থেকেই যায়। ফলে ভুয়ো পরিচিতির একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্যকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আধারের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির নিজস্ব পরিচিতি কখনওই অন্য কেউ দেখতে বা জানতে পারবেন না। ফলে যেকোনও ব্যক্তির তথ্য এখানে সুরক্ষিত থাকে।
বর্তমানে আধারের জনপ্রিয়তা ও কার্যকারিতার পরও বহুক্ষেত্রে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। তবে, আধার লাগু হওয়ার পর দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় তার সুপ্রভাব খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ার ফলে সুবিধা হয়েছে অনেকেরই। ফলে বিষয়টি নিয়ে একটি গঠনমূলক আলোচনা হলে তা দেশের পক্ষে সুবিধাজনক। অনেকেই মনে করছেন ,আদার কার্ড আসার ফলে পাইকারি লেনদেন সমস্যা হচ্ছে। তবে সত্যিটা অন্য। এর ফলে যাবতীয় লেনদেন সুরক্ষিত ও নিবন্ধিকৃত থাকছে। ভবিষ্যতে আধার সম্পর্কিত আরও ভালোদিক নিশ্চয়ই মানুষ বুঝতে পারবেন।
(লেখক শ্রীকান্ত করওয়ার লেখা থেকে অনুদিত হয়েছে এই প্রতিবেদন। লেখক ইউআইডিএআই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত। এই লেখায় তিনি তাঁর নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন। )