ট্রাম্প-পুতিনের কথা হল; হিলারি জিতলে দু'দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকত নিঃসন্দেহে
কথা হল পুতিন এবং ট্রাম্পের মধ্যে। গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে হিলারি ক্লিন্টন জিতলে যে এই দুই দেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকত সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সোমবার টেলিফোনে কথা বললেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিন জানিয়েছে এই কথোপকথনের সময়ে দুই নেতাই ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত আলোচনার সম্ভাবনার উপর জোর দেন। কথা হয় দু'দেশের মধ্যে যোগাযোগ চালু রাখার ব্যাপারেও।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা ভালো যে সাম্প্রতিককালে ইউক্রেন, সিরিয়া সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন এবং মস্কোর মধ্যে সংঘাত তীব্র হয়। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার শাসনকালে মার্কিন নেতৃত্বের সঙ্গে পুতিনের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
ট্রাম্প যাঁকে এবছরের নির্বাচনে হারালেন সেই হিলারি ক্লিন্টনও হলেন পুতিনের ঘোর বিরোধী। আশঙ্কা করা হয়েছিল যে হিলারি জিতলে মার্কিন-রুশ সংঘাত তীব্রতর হয়ে নতুন করে ঠান্ডা যুদ্ধের সূচনা করবে। ট্রাম্প জেতার ফলে সেই আশঙ্কা কমেছে অনেকটাই। আর তা প্রমাণিত পুতিনের সঙ্গে তাঁর ফোনে আলাপচারিতা।
ক্রেমলিন জানিয়েছে যে ট্রাম্প এবং পুতিন উভয়ই স্বীকার করেন যে এই সুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। একই সঙ্গে এটাও ঠিক করেন যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য তাঁরা যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন।
পুতিন ট্রাম্পকে বলেন যে একে ওপরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক না গলিয়ে যাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হয়, সেটা দেখতে তিনি আগ্রহী।
সামনের বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ২১০ বছর পূর্ণ হবে। ট্রাম্প এবং পুতিন বলেন এই ঐতিহাসিক উপলক্ষ্যটিতে এই দুই দেশের লক্ষ্য হওয়া উচিত নিজেদের এবং বিশ্বের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো।
এই মর্মে তাঁরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা করা এবং বিশেষ করে সিরিয়ায় চলতে থাকা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের সমাধান খোঁজার উপরেও জোর দেন। এখানে উল্লেখ্য, ট্রাম্প ওবামা প্রশাসনের সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের বিরোধীদের সমর্থন দেওয়ার নীতির সমালোচনা করে এসেছেন প্রথম থেকেই। তাঁর মতে, আসাদ নন, আসল সমস্যা আইএস। আর এতে স্বভাবতই খুশি আসাদের বনধু পুতিন।
কয়েকদিন আগে সিরিয়ার নেতৃত্বের পক্ষ থেকেও মার্কিন নাগরিকদের কৃতজ্ঞতা জানানো হয় ট্রাম্পকে নির্বাচিত করার জন্য। হিলারি ক্লিন্টন জিতলে তিনি এশিয়া এবং সিরিয়ার মতো দেশগুলির প্রতি যে খুব সহমর্মিতা দেখাতেন না সেটা বুঝিয়ে না বললেও চলে।