For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

মমতার ‘রহস্যময়’ আচরণে তৃণমূল দ্বিধাবিভক্ত সঙ্ঘ ও বিজেপিকে নিয়ে

সঙ্ঘ, নিয়ে কোথাও একটা ‘নরম’ মনোভাব কাজ করছে তৃণমূল নেত্রীর মধ্যে। এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে দেখা দিয়েছে রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রিয়, ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের মনে।

  • By Sanjay
  • |
Google Oneindia Bengali News

সঙ্ঘ নিয়ে কোথাও একটা 'নরম' মনোভাব কাজ করছে তৃণমূল নেত্রীর মধ্যে। এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে দেখা দিয়েছে রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রিয়, ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের মনে। বড় একটা অংশের মানুষের মনে এই ধারণাকে বিশ্বাসের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রহস্যময় আচরণ। কোথাও কোথাও বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলছেন, আবার কখনও অযাচিতভাবে ছাড় দিয়ে ফেলছেন বিজেপিকে।[মিড ডে মিলে আধারকার্ড : আজ রাজপথে তৃণমূল, সংসদেও ঝড় তোলার নির্দেশ মমতার]

কথায় কথায় সংঘর্ষ পরিবারের সভা আটকে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও দখলদারি চালানো হচ্ছে। সিপিএম-কংগ্রেসকে বিদ্ধ করলেও মাঝেমধ্যেই বিজেপিকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এ রাজ্যে অচ্ছ্যুত বিজেপিকে জোটসঙ্গী করে পথ দেখিয়েছিল তৃণমূল, তারপর বাড়ার রাস্তাও দেখাচ্ছে তৃণমূল নেতারা।[মিড ডে মিলে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা কি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অবমাননা নয়?]

রাজ্যে সঙ্ঘ-শক্তি বৃদ্ধির জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেসই! মমতা কেন নিস্পৃহ?

চিটফান্ড থেকে শুরু করে নোট বাতিল ইত্যাদি ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল, একথা অনস্বীকার্য। কিন্তু যখনই দেখা গিয়েছে ইডি বা সিবিআই ঘুমিয়ে পড়েছে, তখনই তৃণমূল চুপচাপ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য বিজেপি নেতাদের গরম-গরম বিবৃতিও 'নরম' হয়ে গিয়েছে। আর পিছন থেকে বিরোধীরা সুর তুলতে শুরু করে বিজেপির সঙ্গে 'ফিটিংস' হয়ে গেছে। রাজ্যের মানুষের মুখেও এখন শোনা যাচ্ছে সেই বুলি।

রাজ্যে আরএসএস নানা নামের আড়ালে দ্রুত মাটি তৈরি করছে- এসবই তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ফল। যার দায় তৃণমূল কংগ্রেস এড়াতে পারবে না। দলনেত্রীও এড়াতে পারেন না। এই অভিমত রাজ্যবাসীর বড় অংশের। তাঁরা মনে করেন, আরএসএস সাম্প্রদায়িক শক্তি। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনে বিশ্বাসী। হিন্দুত্ব তাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা। এটা কোনওদিন গোপন ছিল না।

ওই শ্রেণির মতে, আরএসএসের অনুশাসনে থাকা দল হল বিজেপি। ফলে বিজেপি আর পাঁচটা সংসদীয় রাজনৈতিক দলের মতো নয়। ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে তারা সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে। ধর্মকে ব্যবহার করে। ক্ষমতা চায়, যার জোরে বহুত্ববাদের ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র করা হবে বলতেও দু'বার ভাবে না।

স্রেফ রাজনৈতিক উত্থানের স্বার্থে তৃণমূল নেত্রী বারবার সেই দলের হাত ধরছেন। কেন্দ্রে বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন। রাজ্যে জোট বেঁধে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত লড়েছেন। ইত্যবসরে তৃণমূলের হাত ধরে বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে। এতে যে ক্ষতিটা হল, বিজেপি রাজ্যে মান্যতা পেল।

দ্বিতীয়ত, এটা অস্বীকারের জায়গা নেই যে, বাম আমলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিতে পারেনি, বড় কোনও দাঙ্গা হয়নি। কোথাও উত্তেজনা তৈরি হলে নেতৃত্ব ও পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিশেষত সংখ্যালঘুরা মনে করত, বামেরা সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে আপোশহীন।

এখন প্রশ্ন হল, ক্ষমতা বদলের পরেও রাজ্যে বামশক্তি ছিল শাসকদলের থেকে কিছু শতাংশ কম। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের মাথায় ভূত চাপল 'সব আমাদের' করার। সংসদীয় ব্যবস্থাকে ভেঙে তছনছ করে বিরোধীদের কেনা শুরু করল শাসক দল। প্রলোভন এবং ভয় দেখিয়ে সব নিজের করার চেষ্টায় মাতল তাঁরা। যেখানে একটাও আসনে জেতেনি, সেখানেও তারা পঞ্চায়েত বা বোর্ড গড়ল।

তৃণমূলের আরও একটা লক্ষ্য ছিল- রাজ্যে তাদের প্রধান বিরোধী শক্তি বামেদের শেষ করে দেওয়া। শেষ করে দেওয়া কংগ্রেসকেও। যাতে তারা সহজে মাথা তুলতে না পারে। যাতে দীর্ঘদিন শাসক ক্ষমতায় থাকা যায়। এটা করতে গিয়ে আরএসএসের জন্য ময়দান ফাঁকা করে দিয়েছে তৃণমূল।

এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয়স্থানে উঠে আসার জন্য মরিয়া বিজেপি। আরএসএস-কে পাথেয় করে বিজেপি এগোচ্ছে। রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন। শাসকদল সম্প্রীতির পক্ষে পাল্টা জনমত তৈরি করাতে ব্যর্থ হচ্ছে রাজ্যে। অভিযোগ, শাসকদলের মাঝারি ও নিচুতলার নেতাকর্মী, সমর্থকরাও বিভ্রান্ত। দিদি-মোদি সমঝোতার অভিযোগ তারা খণ্ডন করতে পারছেন না।

শাসক দল বুঝতে পারছে না সংঘের প্রতি নরম হবে না গরম হবে। নেত্রীর অবস্থান ধোঁয়াশাপূর্ণ বলেই এই বিভ্রান্তি। সম্প্রতি আরএসএস কলকাতায় সভা করতে চেয়েছিল। তাতে আপত্তি জানায় প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায় নিয়ে তারা সভা করেছে। এই নিয়ে জলঘোলা হওয়ায় লাভবান হয়েছে কিন্তু সংঘ পরিবারই। তারা এটাকে হাতিয়ার করে ব্যাপক প্রাচার পেল। যে সভায় ১-২ হাজার লোক হত, সেখানে লোক বেড়ে গেল এই অযাচিত প্রচারের ফলে।

এই সুযোগে সংঘ ভোটমেরুকরণে অনেকটা সফল হল। এটা আগামীদিনে তৃণমূলের পক্ষে ক্ষতিকর হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলের অন্দরেই কথা উঠতে শুরু করেছে, কট্টর সংঘবিরোধী বামেদের এবং কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করেই দলের বিপদ ডেকে আনা হচ্ছে! দলনেত্রী এখনও নিস্পৃহ।

English summary
Trinamool Congress is responsible for the growth of RSS and BJP.
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X