র্যানসমওয়্যার ভাইরাসের হামলা থেকে আপনার কম্পিউটারকে কীভাবে বাঁচাবেন? জেনে নিন ফটো ফিচারে
গত শুক্রবার সারা পৃথিবী জুড়ে (মূলত ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে) মোট ১৫০টির দেশে র্যানসমওয়্যার ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছে। ফলে আপনার কম্পিউটার সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখুন।
গত শুক্রবার সারা পৃথিবী জুড়ে (মূলত ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে) মোট ১৫০টির দেশে র্যানসমওয়্যার ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছে। এর ফলে কম্পিউটার স্ক্রিন খুললেই মুক্তিপণের টাকা চাওয়া হচ্ছে। তা না দিলে কম্পিউটারে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। এবং তার ভিতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথিও হ্যাক হয়ে যাচ্ছে।
আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ভারতও। এমনকী এবার বাংলার বুকে র্যানসমওয়্যার ভাইরাসের হানা হয়েছে বলে খবর। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরে সাইবার হানার খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে আপনার কম্পিউটার সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখুন।
ব্যাকআপ সুরক্ষিত করা
একবার কম্পিউটারের ফাইলগুলি এনক্রিপ্টেড হয়ে গেলে আপনার হাতে অপশন কমে আসবে। তার মধ্যে অন্যতম হল ব্যাকআপ রিকভারি। তবে বেশিরভাগ মানুষেরই তা থাকে না। কারণ বেশিরভাগ ব্যাকআপই মেয়াদউত্তীর্ণ থাকে, তাতে বেশি তথ্যও থাকে না। আবার কিছু ভাইরাস ব্যাকআপেও হামলা চালায়। ফলে একাধিক ব্যাকআপ তৈরি করতে হবে। ক্লাউড সার্ভিস থেকে শুরু করে ডিস্ক ড্রাইভে নিয়ম করে ব্যাক আপ রাখতে হবে। যাতে আপনার সিস্টেম থেকে অন্য কোথাও নেটওয়ার্কের বাইরে তা আপনার কাছে সুরক্ষিত থাকে।
নিয়মিত আপডেট
নতুন র্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে যাওয়ার কিছু ফ্যাক্টর রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের কিছু নিরাপত্তার ফাঁকফোকর। যে সমস্ত কম্পিউটার ব্যবহারকারী মার্চ মাসে বেরনো উইন্ডোজের আপডেট করেননি তাদের কম্পিউটারই আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি দফতর, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে টার্গেট করা হয়েছে। ফলে সফটওয়্যার আপডেট করে নিলে এই সমস্যা হতো না। তাই আপডেটে আসা প্যাচগুলিকে অ্যাপ্লাই করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মূলত আক্রমণ করা হয়েছে উইন্ডোজ এক্সপি, সেভেন, এইট ভার্সনকে। এগুলি তৈরি প্রায় বছরখানেক আগে মাইক্রোসফট বন্ধ করে দিয়েছে। এগুলিকে চালাতে প্যাচ রিলিজ করা হয়। তা তা অ্যাপ্লাই করাতেই যাবতীয় বিপত্তি।
অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যারের ব্যবহার
অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করলে অন্তত চেনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে কম্পিউটারকে বাঁচানো সম্ভব হয়। যারা সেভাব পারদর্শী নন অথচ কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়, তাদের কম্পিউটারে অ্যান্টি ভাইরাস না থাকলে চেনা ভাইরাসও মারাত্মক ক্ষতি করে দিয়ে চলে যায়।
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শিক্ষিত করা
অফিস অথবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কর্মীরা যাতে অচেনা সন্দেহজনক কোনও লিঙ্কে ক্লিক না করেন, তা তাদের জানিয়ে দেওয়া। এর ফলে অনেকটা সুরক্ষিত থাকা যায়। তাই এই ধরনের কোনও সমস্যা আগত হলে খুব কম কর্মীরই যাতে নেটওয়ার্ক অ্যাকসেস থাকে তা অফিসকেই নিশ্চিত করতে হবে।
ভাইরাস আক্রমণ হলেই নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে হবে
কিছু প্রতিষ্ঠানে ভাইরাস আক্রমণ হলেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এতে বাকী ওয়ার্কস্টেশনগুলি অন্তত বেঁচে যাবে। ফলে কোনও জায়গা থেকে প্রলোভন এলেও তাতে সায় দেবেন না। সমস্ত নেটওয়ার্কের কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে অতিরিক্ত ক্ষতির হাত থেকে বাঁচুন।