(ছবি) এগুলি ছাড়া কি মহালয়া সম্পূর্ণ হয়?
বাজল তোমার আলোর বেণু...
আজ শুভ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানেই দেবীর আগমণী বার্তা। কিন্তু কংক্রিটের শহরে কোথায় আর দেখা যায় খোলা আকাশে ভেসে যাওয়া পেঁজা তুলো মেঘ? জঞ্জাল আবর্জনার গন্ধ পেরিয়ে কোথায় বা কাশ-শিউলির গন্ধে মনটা হু হু করে ওঠে? তবু আজ মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনা। শিউলির সুগন্ধ না এলেও আকাশে বাতাসে মহালয়ার নিবিড় সুর।
পিতৃপক্ষের অবসানে তর্পণের ভিড় গঙ্গার ঘাটে ঘাটে
নতুন প্রজন্মের মহালয়া শুধু ফেসবুক-আর টুইটারের ঘেরাটোপে আবদ্ধ। তবু আজও মহালয়ায় গঙ্গায় উপচে পড়ে তর্পণের ভিড়। ভোরের আলো ফুটতেই ঘরে ঘরে আকাশবাণীতে বেজে ওঠে পরিচিত সেই কন্ঠ। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র। যা ছাড়া হয়তো মহালয়া অপূর্ণ। টেলিভশনের বিভিন্ন চ্যানেলে দেবী দূর্গা ও মহিষাসুরের লড়াই।
দুর্গা পুজার নির্ঘণ্ট : জানুন পুজোর সময়-তারিখ-শুভ মুহূর্ত
টেলিভিশন-এফএম-এ যুগে আকাশবাণী যতই পিছিয়ে পড়ুক না কেন, এই একদিন কিন্তু বীরেন্দ্রবাবুর দৌলতে শুধু তাঁদের। ঝাঁচকচকে গ্রাফিক্স, নজরকাড়া কস্টিউম ও সর্বোপরি গ্ল্যামারের যুগে অবশ্য অন্যান্য বেসরকারি টেলিভশন চ্যানেলের থেকে দৌড়ে অনেকটাই ছিটকে পড়েছে দূরদর্শন। তবুও আজ মহালয়া, সারাবছরের সব গ্লানি-ঘৃণা, হিংসা ভুলে মিলন উৎসবে মাতার দিন যে দোরগোরায় তা মনে করিয়ে দেওয়ার দিন আজ।
(ছবি) দুর্গাপুজো স্পেশ্যাল : সেলুলয়েডে দুর্গাপুজোর কিছু মুহূর্ত
শাস্ত্রীয় বিধান মতে, মহালয়ার অর্থ হচ্ছে মহান আলোয় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে আবাহন। দুর্গাপূজার দুই পক্ষের একটি হলো পিতৃপক্ষ, অন্যটি দেবীপক্ষ। অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের শেষ হয়, আর পরের দিন প্রতিপদ তিথিতে শুরু হয় দেবীপক্ষের।
মহালয়ার দিন ভোরে মন্দিরে মন্দিরে শঙ্খের ধ্বনি ও চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আবাহন জানানো হয়। এদিন গঙ্গাতীরে ভক্তরা পূর্বপুরুষদের আত্মার মঙ্গল কামনায় তর্পণ করেন।
মা আসছেন ঘোড়ায়, যাচ্ছেন ঘোড়ায় ... এর মানে কী দাঁড়ায় ?
পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার মর্ত্যলোকে আসবেন নৌকায় চড়ে। এর ফলে মর্ত্যলোক শস্যে পরিপূর্ণ হবে। আগামী বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী স্বর্গলোকের জন্য বিদায় নেবেন দোলায় চড়ে। যার ফলে পৃথিবীতে রোগ শোক মহামারীর বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি এই পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজাও বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে শ্রী রামচন্দ্র শরৎকালে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন। অকালে তথা শরৎকালে অনুষ্ঠিত হওয়া এই পূজা তখন থেকেই অকালবোধন নামে পরিচিত ।
যা ব্যতীত মহালয়া অসম্পূর্ণ
{photo-feature}