১ লক্ষেরও বেশি মানুষকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন এই চিকিৎসক
বিশিষ্ট চক্ষুচিকিৎসক সন্দুক রুইত এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আর অন্ধকার মুছে ফেলে পৃথিবীর আলো দেখানোর এই মহান কর্মযজ্ঞ তিনি এখনই থামিয়ে ফেলতে চাইছেন না।
পরিসংখ্যান বলেছে বিশ্বে ২২৩ মিলিয়ন মানুষ রয়েছেন যাঁরা দৃষ্টিশক্তির বিভিন্ন রকমের সমস্যায় ভুগছেন। তবে দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভুগতে থাকা মানুষদের সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে ব্রতী হয়েছেন নেপালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডঃ সন্দুক রুইত।
বিশিষ্ট চক্ষুচিকিৎসক সন্দুক রুইত এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আর অন্ধকার মুছে ফেলে পৃথিবীর আলো দেখানোর এই মহান কর্মযজ্ঞ তিনি এখনই থামিয়ে ফেলতে চাইছেন না। একনজরে দেখা নেওয়া যাক চিকিৎসক রুইতের কর্মকাণ্ড।
হিমালয়ান ক্যাটারক্ট প্রজেক্ট
দৃষ্টিশক্তির সমস্য়ায় ভুগতে থাকা মানুষদের দৃষ্টি ফেরাতে ডঃ রুইত চালু করেছেন হিমালয়ান ক্যাটারাক্ট প্রজেক্ট। যে প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু কাশ্মীরের বহু মানুষকে অত্যন্ত কম খরচে তিনি চোখের অস্ত্রপচার করেন। এই প্রজেক্টের যোগাযোগ করতে হলে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে-http://www.cureblindness.org/
কে এই ডঃ সন্দুক রুইত ?
১৯৫৫ সালে নেপালের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মান ডঃ রুইত। এরপর চিকিৎসক সন্দুক রুইত পড়াশোনা করেন ভারত, নেদারল্যান্ড ও আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায়। পড়াশুনা শেষ করে তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি প্রায় ১ লাখেরও বেশি মানুষের সফল অস্ত্রপচার করেছেন।
সস্তায় অস্ত্রপচার
অস্ত্রপচারের সময় চোখের খুব কম জায়গাকে কেটে তিনি ছানি অস্ত্রপচার করতে পারেন। এখানেই তাঁর দক্ষতা ।যার জন্য প্রয়োজন হয় কম দামের ইন্ট্রাকিউলার লেন্স। এই কাজ তিনি অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে করে আসছেন। এজন্যই গরিব মানুষ সস্তায় অস্ত্রপচার করতে পারেন ডঃ সন্দুক রুইতের কাছে।
তিলগঙ্গা আই সেন্টার
অনেক জায়গাতেই ছোট ছোট ক্যাম্প করে গরিব মানুষের চোখের চিকিৎসা করে আসছেন ডঃ সন্দুক রুইত। যাতে সাধারণ মানুষ সস্তায় চিকিৎসা পান।আর এজন্যি তিনি নেপালে গড়ে তুলেছেন তিলগঙ্গা আই সেন্টার।
প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিৎসা
সাধারণত দেখা যায়, প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ চিকিৎসার সুবিধা পান না। নূন্যতম চিকিৎসা পেতেও যেতে হয় উন্নত শহরে। তবে বিশিষ্ট চিকিৎসক সন্দুক রুইত প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে যান রোগীকে শুশ্রুষা করার স্বার্থে।