(ছবি) রক্তদান নিয়ে এই তথ্যগুলি আপনার অজানা নয়তো?
'কাকু চাঁদা লাগবে, পাড়ায় রক্তদান শিবিরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে তো' কিংবা ধরুন "দাদা, বৌদিকে নিয়ে সকাল সকাল চলে আসবেন, জানেনই তো জনতার স্বার্থে আমরা এবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছি।" এই বাক্যগুলি আপনি পাড়ায় মাঝে মাঝেই শুনতে পান। মানুষের সেবা করছেন ভেবে টুক করে এক বোতল রক্ত দিয়ে বেশ বুক চওড়া করে পাড়ায় ঘুরেও বেড়ান। [(ছবি) অনিয়মিত রক্তচাপের জেরে কী কী সমস্যা হতে পারে জানেন কি?]
কিন্তু এই যে আপনি রক্ত দিচ্ছেন, সেই রক্ত যাচ্ছে কোথায়? ওই রক্ত দিয়ে কি হচ্ছে। রক্তদান নিয়ে কখনও রক্ত দেওয়া ছাড়া তার বাইরে ভেবেছেন? রক্তদান কতটা সুরক্ষিত তা কি আপনার জানা? [(ছবি) এই ৭ কারণে হঠাৎ অজ্ঞান হতে পারেন আপনি]
আজকের আমাদের এই প্রতিবেদন ভারতের রক্তদান নিয়ে। রক্তদান নিয়ে এমন অনেক অজানা তথ্য আছে যা আমরা জানি না। এমনই কিছু চমকে দেওয়া তথ্য আজ আমরা পাঠকদের জন্য নিয়ে এসেছি। [(ছবি) ব্লাড ক্যানসার সম্পর্কে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি জেনে রাখুন]
প্রথম তথ্য
রক্তের দামের চেয়ে রক্ত থেকে প্লাজমা আলাদা করলে তার দাম অনেক বেশি। তাই বেশ কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত হাসপাতাল আছে যারা অতিরিক্ত লাভের আশায় রক্ত থেকে প্লাজমা বের করে তা চড়া দামে বিক্রি করে। আর প্লাজমা ছাড়া রক্ত ব্লাডব্যাঙ্কে রেখে দেয়।
দ্বিতীয় তথ্য
অলিতে গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় অন্তত বছরে একবার রক্তদান শিবির তো হয়েই থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন এত রক্তদান শিবির সত্ত্বেও ভারতের ব্লাডব্যাঙ্ক এবং হাসপাতালে রক্তের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির পরিমান প্রায় ৩৫ শতাংশ। আর এই ঘাটতির অন্যতম মূল কারণ রক্তের কালোবাজারি এবং রক্ত সংরক্ষণের অনুপযোগী পরিকাঠামো। [(ছবি) কেটে গিয়ে রক্তপাতের সমস্যা থেকে মুক্তির ঘরোয়া টোটকা]
তৃতীয় তথ্য
আপনি কি জানেন সবচেয়ে বেশি O ব্লাডগ্রুপের রক্তের চাহিদা থাকে হাসপাতাল ও ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে? প্রত্যেক দিন প্রায় ৩৮,০০০ রক্তদানের প্রয়োজন হয়।
চতুর্থ তথ্য
রক্তের কালোবাজারির বিশাল চাহিদা রয়েছে। ৩০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে ভারতেই। আর এই কালোবাজারির পরিমাণ ক্রমশই বাড়ছে। যে পরিমাণ রক্তদান হয় তার একটা বড় অংশই এই কালোবাজারে চলে যায়। [(ছবি) শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হচ্ছে কীভাবে বুঝবেন?]
পঞ্চম তথ্য
আপনি হয়তো শুনলে আতকে উঠবেন রক্ত পাচারকারীরা, রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে অতিরিক্ত লাভের আশায় রক্ত পাচারকারীরা রক্তের সঙ্গে জল মিশিয়ে দেয়। টাকার অভাব হলে নোংরা অশুদ্ধ জলই মিশিয়ে দেওয়া হয় না হলে হাতে টাকা থাকলে অনেকসময় স্যালাইন ওয়াটার রক্তে মেশানো হয়।
ষষ্ঠ তথ্য
মানুষের ব্লাড গ্রুপকে ৪টি ভাগেই ভাগ করা হয়, A, B, O, AB। তবে সম্প্রতি সুরাতে এক ব্যক্তির শরীরে অন্যধারার রক্তের নমুনা মিলিছে। এই রক্তের সঙ্গে উপরের চার ব্লাড গ্রুপের একটির সঙ্গেও চারিত্রিক বৈশিষ্ট মিল খায় না। এই রক্তের নতুন নামকরণ হয়েছে INRA। [(ছবি) অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর করবে এইসব খাবার]
সপ্তম তথ্য
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির শরীরে ১০ পিন্ট রক্ত থাকে। রক্তদানের সময় ১ বোতল রক্ত তিনি দিতে পারেন। প্রত্যেক ৫৬ দিনে রক্ত দিতে পারেন ডোনার। প্লেটলেট দানের ক্ষেত্রে প্রতি এই সংখ্যাটা সাতদিন অন্তর। তবে একবছরে ২৪ বারের বেশি প্লেটলেট দেওয়া শরীরের পক্ষে উচিত নয়।