শশীকলা vs পন্নিরসেলবম লড়াই : অন্য ভয়ে ত্রস্ত এআইএডিএমকে কর্মী-সমর্থকেরা
শশীকলা নটরাজন বনাম ও পন্নিরসেলবম লড়াই তামিলনাড়ুর গণ্ডী ছাড়িয়ে কেন্দ্রীয় আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই প্রেক্ষিতেই নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এআইএডিএমকে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।
শশীকলা নটরাজন বনাম ও পন্নিরসেলবম লড়াই তামিলনাড়ুর গণ্ডী ছাড়িয়ে কেন্দ্রীয় আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এসবের মাঝে অন্য আশঙ্কার মেঘ দেখছেন তামিলনাড়ুর শাসকদল এআইএডিএমকের কর্মী সমর্থকেরা।
এদিন নিজেদের ক্ষমতার প্রদর্শন করতে রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাওয়ের কাছে গিয়ে দেখা করে এসেছেন এআইএডিএমকে প্রধান শশীকলা নটরাজন। পাশাপাশি রাজ্যপাল সকাশে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে সরে যাওয়া ও পন্নিরসেলবম। দুজনেই জানিয়েছেন, নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা তারা বিধানসভায় প্রমাণ করবেন।
এই অবস্থায় রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও যুযুধান দু'পক্ষের কথা শুনে নিজের রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে এবার তামিলনাড়ুর ভবিতব্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
আর এই প্রেক্ষিতেই নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এআইএডিএমকে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। পন্নিরসেলবম হোক অথবা শশীকলা, যিনিই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসুন, আদতে দলে যে স্পষ্ট বিভাজন হয়ে গিয়েছে, তা জলের মতো স্পষ্ট। আর এর মূলে রয়েছে দলের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে সেটা ধরে রাখার লড়াই।
শশীকলা বহুদিন জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। জয়া প্রয়াত হওয়ার পরে শশীকলা তাঁর বাড়িতেই থাকছেন। এমনকী তাঁর গাড়িতেই চাপছেন। শুধু তাই নয়, জয়ললিতার প্রয়াণের পরে প্রথমে এআইএডিএমকে প্রধানের পদে বসা ও পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
অন্যদিকে পন্নিরসেলবম জয়ার এক অনুগত সৈনিক হিসাবে পরিচিত ছিলেন। যতবার আইনি জটিলতায় জয়া মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরেছেন, ততবারই (মোট তিনবার) পন্নিরসেলবম অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলেছেন। এবারও জয়ার মৃত্যুর পরে তিনিই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন ও পরে ইস্তফা দেন।
এই অবস্থায় জয়ললিতা মারা যাওয়ার পরে দুই পক্ষের লড়াই দেখে রাজ্যপাল যদি আইন মোতাবেক রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্ত নেন তাহলে তা এআইএডিএমকের জন্য খুব একটা সুখের হবে না। কারণ রাষ্ট্রপতি শাসনের পরই ভোট হবে।
২০১৬ সালে ডিএমকে নেতৃত্বাধীন জোটকে হারিয়ে সংখ্যাগরি্ষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় ফেরেন জয়ললিতা। তাঁর অকাল প্রয়াণের পরে এই মুহূর্তে তামিলনাড়ুতে ভোট অনুষ্ঠিত হলে এআইএডিএমকে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখে ক্ষমতায় ফিরবে, সেই নিশ্চয়তা দলের অতিবড় সমর্থকও দিতে পারছেন না। ফলে শশীকলা অথবা পন্নিরসেলবম যেই ক্ষমতায় ফিরুন, এআইএডিএমকের জন্য সবদিকথেকেই পরিস্থিতি খুব একটা আশাপ্রদ নয়।